গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে, মণিপুরে ক্ষমতাসীন বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে এল। যে ঘটনার জেরে শুক্রবার বহিষ্কৃত হলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র চোংথাম বিজয়। সম্প্রতি তিনি রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে (এনপিপি) "পরজীবী বিপদ" বলে অভিহিত করেন। এর একদিন পরেই তাঁকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। রাজ্যে গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এনপিপি।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমার নেতৃত্বাধীন এনপিপি মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এমডিএ) সরকারের একটি প্রভাবশালী দল এবং ২০১৭ সাল থেকে মণিপুরে ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী। যদিও দুই দল পৃথকভাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চের দুটি পর্বের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
মণিপুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি এ. শারদা দেবীর জারি করা একটি বিবৃতি অনুসারে, বিজয়কে "দলের নিয়ম ও বিধি লঙ্ঘন এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য" ছয় বছরের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজেপি থেকে বহিষ্কারের পরপরই, বিজয় মিডিয়াকে বলেন, তিনি আসন্ন নির্বাচনে উরিপোক বিধানসভা কেন্দ্রের জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রার্থী কে সুরেশকে সমর্থন করবেন।
তিনি বলেন, "আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম বলে আমাকে দলীয় টিকিট থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আমাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই দলের সভাপতি আমার বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি করেছেন।"
বহিষ্কৃত বিজেপি সদস্য এবং দলের মুখপাত্র বিজয়, মণিপুরের উরিপোক থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ছিলেন। যদিও ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপি মনোনয়ন দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার এল. রঘুমণিকে। যে ঘটনার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিজয়।
তিনি দাবি করেন যে, রঘুমণি "দুর্নীতিগ্রস্ত" হওয়া সত্ত্বেও প্রভাবশালীদের সুপারিশে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন