Manipur Polls 22: দ্বিতীয় দফার ৯২ প্রার্থীর মধ্যে ৫৭% কোটিপতি, ১৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারী মামলা

১৬জন প্রার্থী (১৭ শতাংশ) তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে বলে জানিয়েছেন, আর ১৪জন প্রার্থী (১৫ শতাংশ) তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার একথা জানিয়েছে এডিআর।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সংগৃহীত
Published on

মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৯২ জন প্রার্থীর প্রায় ৫৭ শতাংশই 'কোটিপতি' (মিলিয়নিয়ার)। ১৬জন প্রার্থী (১৭ শতাংশ) তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে বলে জানিয়েছেন, আর ১৪জন প্রার্থী (১৫ শতাংশ) তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এর একটি প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।

এডিআরের পূর্ববর্তী প্রতিবেদন অনুসারে, মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ শতাংশেরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং ১৬ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। প্রথম দফার ৫৩ শতাংশ প্রার্থী 'ক্রোড়পতি'।

ADR-এর রিপোর্ট অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ৯২ জন প্রার্থীর স্ব-ঘোষিত হলফনামা বিশ্লেষণ করে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের গড় সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.৬১ কোটি টাকা। ৫২ 'কোটিপতি' (৫৭ শতাংশ) প্রার্থীর মধ্যে ১০জন প্রার্থীর (১১ শতাংশ) সম্পদের মূল্য ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি।

এডিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের নির্বাচনে অর্থ শক্তির ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট, কারণ সব বড় রাজনৈতিক দলই ধনী প্রার্থীদের টিকিট দেয়।

এতে বলা হয়েছে যে প্রধান দলগুলির মধ্যে, জনতা দল (ইউনাইটেড) থেকে ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন (৪০ শতাংশ), কংগ্রেসের ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন (২২ শতাংশ), পিপলস পার্টির ১১জন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন (১৮ শতাংশ) এবং বিজেপির ২২জন প্রার্থীর মধ্যে ২জন (৯ শতাংশ) তাদের হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন।

এডিআর বিশ্লেষণ অনুসারে, ১০ জন জেডি (ইউনাইটেড) প্রার্থীর মধ্যে ৪জন (৪০ শতাংশ), ১৮জন কংগ্রেস প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন (২২ শতাংশ), এনপিপির ১১জন প্রার্থীর মধ্যে ১জন (৯ শতাংশ) এবং বিজেপির ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১জন (৫ শতাংশ) নিজেদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলার কথা ঘোষণা করেছেন।

তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে (IPC ধারা-৩৭৬)।

এডিআর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ১৯জন (২১ শতাংশ) প্রার্থী তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ ম থেকে ১২ তম মানের মধ্যে ঘোষণা করেছেন এবং ৭২জন (৭৮ শতাংশ) প্রার্থী স্নাতক বা তার উপরে শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘোষণা করেছেন। একজন প্রার্থী ডিপ্লোমাধারী।

সব মিলিয়ে ৯জন (১০ শতাংশ) প্রার্থী তাদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ঘোষণা করেছেন। ৬৬জন (৭২ শতাংশ) প্রার্থী তাদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ঘোষণা করেছেন এবং ১৭ (১৮ শতাংশ) প্রার্থী রয়েছেন যাদের বয়স ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।

৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভার নির্বাচন দুটি পর্বে ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in