মণিপুরে দ্বিতীয় দফার ২২ আসনের ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শেষ পর্বে। আগামীকাল শনিবার ৬০ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট মণিপুরে দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ৬ জেলার ২২ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল আগামী ১০ মার্চ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের জন্য ৩০০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যের থৌবাল, জিরিবাম, চান্দেল, উখরুল, সেনাপতি এবং তামেংলং জেলায়।
আগামীকাল যে ছয় জেলায় ভোটগ্রহণ হবে তার মধ্যে পাঁচটি জেলাই পার্বত্য অঞ্চলে। শুধুমাত্র থাউবাল জেলা উপত্যকা অঞ্চলে। বাকী পাঁচটি জেলা আসাম, নাগাল্যান্ড এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হওয়ায় এই অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্র অনুসারে, দ্বিতীয় দফার ভোটে মণিপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯২ জন প্রার্থী। মোট ভোটারের সংখ্যা ৮,৪৭,৪০০। যার মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৪,২৮,৯৬৮। মোট ভোটকেন্দ্রর সংখ্যা ১,২৪৭টি। আগামীকালের ভোটে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন রাজ্যের তিনবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের ওক্রাম ইবোবি সিং। তিনি থৌবাল কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামীকাল রাজ্যের যে ২২ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে তার মধ্যে ৪টি আসনে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। চান্দেল, মাও, তাদুবি এবং তামেংলং কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী না দেবার পেছনে রাজনৈতিক মহল অন্য সমীকরণ দেখছেন। তাদের অনুমান, ওই চার কেন্দ্রে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিতেই এই চার কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না কংগ্রেস।
২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে ২৮ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ ১৫ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় কংগ্রেসকে। মাত্র ২১ আসনে জয়লাভ করেও সরকার গঠনে সমর্থ হয় বিজেপি। যদিও সেবার যাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি সরকার গড়েছিলো এবারের নির্বাচনে সেই এনপিএফ এবং এনপিপি এককভাবে নির্বাচনে লড়াই করছে। অন্যদিকে চার বাম দল এবং জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩৮ আসনের সেই নির্বাচনে ভোট পড়েছিলো ৮৮.৬৩ শতাংশ। প্রথম দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা ছিলো ১২,০৯,৪৩৯।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন