মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ। তিনি দাবি করেন একাধিক বিধায়ক নিজেদের গ্রামে মাত্র ৫০টি ভোট পেয়েছেন। যা একপ্রকার অসম্ভব।
৫ রাজ্যের নির্বাচনে তেলেঙ্গানা বাদে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং মিজোরামে পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস শিবিরকে সব থেকে বেশি চিন্তায় রেখেছে ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশের ফলাফল। সেখানে ১৬৩ আসন নিয়ে ফের ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। ৬৬ আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কংগ্রেসকে। এই পরাজয় কিছুতেই মানতে পারছেন না রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের অনেকের কথাতেই বার বার ইভিএম কারচুপির প্রসঙ্গ উঠে আসছে।
মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ বলেন, "নির্বাচনের ফল দেখে আমরা সকলেই অবাক। কারণ এই রাজ্যে পালাবদলের হাওয়া উঠেছিল। সেখান থেকে এমন ফলে আশাহত। অনেক বিধায়ক জানিয়েছেন তাঁরা তাঁদের গ্রামেও ৫০ ভোট পাননি। এটা কীভাবে সম্ভব?" বিধায়কদের কথায় অবাক হয়ে এই প্রশ্ন তুললেও এখনই ইভিএম কারচুপি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তিনি। কমল নাথ বলেন, "এখনই কোনো বিষয়ে মন্তব্য করে দেওয়াটা উচিত নয়। সকলের সঙ্গে আগে আলোচনা করতে হবে"।
আবার ২০১৪ সালে ইভিএম সংক্রান্ত বিষয়ে বিজেপির করা অভিযোগ মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন মধ্যপ্রদেশের আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ (রাজ্যসভা) দিগ্বিজয় সিং। তিনি লেখেন, যে মেশিনের মধ্যে চিপ আছে তা সহজেই হ্যাক করা যায়। আমি ২০০৩ সাল থেকে ইভিএম-র মাধ্যমে ভোটদানের বিরোধিতা করে আসছি। আমরা কি আমাদের ভারতীয় গণতন্ত্রকে পেশাদার হ্যাকারদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি? সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।"
ইভিএম কারচুপি নিয়ে নিজের পোস্টে সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেন, "মাননীয় নির্বাচন কমিশন এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আপনারা কি ভারতীয় গণতন্ত্রকে রক্ষা করবেন?"
বিজেপি অবশ্য কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ইভিএম কারচুপি হলে তেলেঙ্গানাতে কংগ্রেস জিতলো কীভাবে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন