আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ভোট গণনা হবে ২ মার্চ। নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয় - দুই বিধানসভাতেই মোট আসন ৬০টি করে। উত্তরপূর্বের দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একবার দেখে নেওয়া যাক প্রার্থীদের আর্থিক অবস্থা।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-এর (ADR) তথ্য অনুসারে মেঘালয়ে সর্বাধিক ধনী প্রার্থীর নাম মেটবাহ লিংডো। তিনি মৈরাং কেন্দ্র থেকে ইউডিপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৬ কোটি টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন কংগ্রেস প্রার্থী ভিনসেন্ট এইচ পালা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুতুঙ্গা সাইপুং কেন্দ্র থেকে। তাঁর স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১২৫ কোটি টাকা।
রাজ্যের মাওহাটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এইচএসপিডিপি ইভালনই খারবানির স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১০৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে রাজ্যের আমলারেম কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আরবিয়াংকাম খারোসোমাত সবথেকে গরীব প্রার্থী। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য মাত্র ৯ হাজার টাকা। তাঁর পরেই রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এ) প্রার্থী থোসেনছেবা এ সাংমার মোট সম্পদের পরিমাণ ২২ হাজার টাকা।
নাগাল্যান্ডে সর্বাধিক ধনী প্রার্থী লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)-এর সুখাতো এ সেমা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পুঘোবোতো কেন্দ্র থেকে। তাঁর ঘোষিত স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৬০ কোটি টাকা।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন এনডিপিপি প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৬ কোটি টাকা।
বিজেপি প্রার্থী কাহুলি সেমা এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন। তাঁর ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৩৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে সবথেকে গরীব প্রার্থী কংগ্রেসের টি নাগম্পাই কোনিয়াক। তাঁর মোট ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। নাগা পিপলস ফ্রন্টের এইচ চিংসাক কোনিয়াকের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন