গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। ঠিক তার আগেই রোজগার মেলার দ্বিতীয় পর্যায়ে অনলাইনের মাধ্যমে ৭১ হাজার ৫৬টি নিয়োগপত্র বিলি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তাঁর এই কর্মকাণ্ডকে নিছকই রাজনৈতিক চমক ছাড়া আর কিছুই না বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
নিজস্ব একটি ট্যুইটে খাড়গে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদী বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই হিসেব অনুযায়ী ৮ বছরে ১৬ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। সেখানে মাত্র কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হচ্ছে! আসলে ভোটারদের প্রভাবিত করতেই ৭১,০০০ নিয়োগপত্র বিতরণ করছেন মোদী। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর মিলিয়ে যেখানে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে, সেখানে এটা 'নির্বাচনী স্টান্ট' ছাড়া এটা আর কিছুই না।"
দেশজুড়ে যেখানে বেকারত্ব আকাশছোঁয়া, তীব্র সংকটের জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট, বড়, মাঝারি সংস্থা। সেখানে বিধানসভা ও ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদী জুমলা ছড়াচ্ছেন। কর্মচ্যুৎ হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী। এমনই অভিযোগ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরগুলি।
বিরোধীদের অভিযোগ, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি-র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বেকারত্বের হার ৭.১২ শতাংশ। যা স্বাধীনতার পর এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ, কর্মসংস্থানের প্রশ্নে মোদী সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। নতুন শ্রমকোড আইন অনুযায়ী সরকারি দপ্তরে স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে। তার বদলে এসেছে ঠিকাকাজ। এইসময়ে ১০ লক্ষ নিয়োগের কথা বলে সমালোচনা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন মোদী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে শ্রমসক্ষম জনসংখ্যার মাত্র ৪৩ শতাংশের হাতে কাজ রয়েছে। যা বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের থেকেও কম। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকারকে নিশানা করে বেশকিছু প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা :-
১) কেন এতদিন নিয়োগ না করে শূন্যপদ ফেলে রাখা হল?
২) কেন এতদিন বেশিরভাগ শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ না করে ঠিকা নিয়োগ করা হল?
৩) ৩০ লক্ষ শূন্যপদ থাকার পরেও কেন মাত্র ১০ লক্ষ নিয়োগ করা হবে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন