লোকসভা নির্বাচনে মা মেনকা গান্ধীকে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে ফের টিকিট দিলেও পুত্র বরুণ গান্ধীকে পিলভিট থেকে এবার টিকিট দেয়নি বিজেপি। যার ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছে বরুণ গান্ধীর বিজেপি ছাড়ার। এই জল্পনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বরুণ গান্ধীকে কংগ্রেসে আহ্বান জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যদিও সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই।
এদিন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “বরুণ গান্ধীর কংগ্রেসে আসা উচিত। উনি কংগ্রেসে আসলে আনন্দিত হব।” পাশাপাশি বরুণ গান্ধীকে ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা’ তকমা দিয়ে অধীর বলেন, “আমি আগে থেকেই জানতাম বরুণ গান্ধী বিজেপির টিকিট পাবেন না। কারণ বিজেপির দল ও সরকার পরিচালনা নিয়ে বরুণের মতভেদ ছিল। বরুণ শিক্ষিত, নিজস্ব ভাবমূর্তি রয়েছে।“
অধীর আহ্বান জানালেও গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই বলেই জানা গেছে। এমনকি বরুণের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের কোনো কথাও হয়নি বলেও সূত্রের খবর। প্রার্থী না হওয়ার পর জল্পনা উঠেছে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন বরুণ। আবার নির্দল প্রার্থী হওয়ারও জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও বরুণ গান্ধীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি আশা করেছিলেন এবারেও প্রার্থী হবেন।
উল্লেখ্য, পিলভিট লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৯ সালে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন সঞ্জয় গান্ধীর ছেলে বরুণ গান্ধী। ওই কেন্দ্রে ২০১৪ সালে প্রার্থী করা হয় তাঁর মা মেনকা গান্ধীকে। তিনিও জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে নিজের পুরনো কেন্দ্রে ফিরে আসেন বরুণ। আড়াই লক্ষের বেশি ব্যবধানে সেবার জিতেছিলেন তিনি। সম্প্রতি কৃষক আন্দোলন সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। আগেই মনে করা হয়েছিল এবার বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন