মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। রাজ্যের ২৩০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় ৩৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এবার বিজেপির সেই ঘোষিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালো মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভা সাংসদ দিগ্বিজয় সিং-এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে এক আবেদনে জানায়, কমিশন বিজেপির ৩৯ জন ঘোষিত প্রার্থীর খরচের দিকে নজর রাখুক।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের কাছে যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়, রাজ্যে এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি এবং নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়নি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের সমস্ত সরকারি কাজে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী এবং বিধায়করা দখলদারি করছেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারি খরচে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বিজেপির ঘোষিত ৩৯ জন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। ওই প্রার্থীদের পক্ষে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করা উচিত এবং এই খরচ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারের খরচের সঙ্গে যোগ করা উচিত।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জে পি ধানোপিয়া সংবাদমাধ্যমে জানান, এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটগণনা প্রসঙ্গে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যেসব কেন্দ্রে নির্বাচনী জয় পরাজয় ১০০০-এর কম ভোটে হবে সেইসব কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার গণনা করার পর যেন ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ১১৪ আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে ক্ষমতায় বসে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে সমর্থন জানান সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং নির্দল প্রার্থীরা। যদিও মাত্র ১৫ মাসের মধ্যেই কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিদ্রোহে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হয়। সিন্ধিয়ার সঙ্গে তাঁর অনুগামী বিধায়করা কংগ্রেস ত্যাগ করেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সরকার। এরপরেই ২০২০ সালের মার্চ মাসে ফের ক্ষমতায় বসে বিজেপি এবং মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিং চৌহান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন