লোকসভার জন্য চূড়ান্ত হল মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আঘাদির আসন ভাগাভাগি। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের ৪৮ টি আসনের মধ্যে ২১ টি আসনে লড়বে শিবসেনা (ইউবিটি), ১৭ আসনে কংগ্রেস এবং ১০ টি আসনে এনসিপি (এসপি) লড়বে। তবে আসন ভাগাভাগিতে কংগ্রেস সাংলি, মুম্বাই দক্ষিণ মধ্য বা ভিওয়ান্ডির মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন পায়নি।
সাংবাদিক বৈঠক করে এই আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার (ইউবিটি) উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপির (এসপি) শরদ পাওয়ার। শরদ পাওয়ার জানান, “আমরা পরস্পরের সঙ্গে আলোচনার পর এই সমঝোতা চূড়ান্ত করেছি।" এরপর মোদীকে আক্রমণ করে শরদ পাওয়ার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একটি প্রতিষ্ঠান। আমি অতীতে অনেক প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কেউ এতটা অসম্মান আনেননি।”
উদ্ধব ঠাকরে জানান, "আমরা আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেছি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এবং আসন জয়ের লক্ষ্যেই লড়াইয়ে নামছি।"
কংগ্রেসের নানা পাটোলে বলেন, “কংগ্রেস একটি জাতীয় দল। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে দলটি। স্বৈরাচারী শাসনের অপসারণে বদ্ধপরিকর আমরা। আমাদের দলের কর্মীদের বড় হৃদয় দেখিয়ে এই আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত।"
নানা পাটোলে আরও দাবি করেন, "তিনটি দলের ভোটও একে অপরের কাছে স্থানান্তরিত হবে কারণ আমাদের জোটে আসল শিবসেনা এবং এনসিপি রয়েছে।"
প্রকাশ আম্বেদকরকে তাঁদের জোটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যদিও তিনি আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, আমরা কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করব না। কারণ আমরা তাঁকে সম্মান করি।"
বিজেপির বিরুদ্ধে উদ্ধব ঠাকরে অভিযোগ করেন, “বিজেপি একটি চাঁদাবাজ দল যারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের জন্য ক্ষমতাকে ব্যবহার করেছে। নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর দল শিবসেনাকে গুজরাটে স্থানান্তর করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি বাধা দিয়েছিলাম।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন