বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে সাক্ষাতের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দিল্লি গেলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)। তাঁর এই সফর ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) জানিয়েছে, জাতীয় রাজধানী সফর কালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। একইসঙ্গে, তাঁর কিছু অফিসিয়াল প্রয়োজন আছে।
তবে, ক্ষমতাসীন BJD সূত্র দাবি করেছে, এই সফরের মাঝে বিভিন্ন দলের নেতাদের সাথেও দেখা করতে পারেন বিজু জনতা দলের (BJD) সভাপতি নবীন পট্টনায়েক। ১৩ মে, ওড়িশায় ফিরতে পারেন তিনি।
শুধু দলীয় সূত্র নয়, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে যে, দিল্লি সফরে কিছু বিরোধী নেতা, যারা ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, তাঁদের সাথে দেখা করতে পারেন বিজেডি সভাপতি। ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে এই সাক্ষাৎ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ স্পষ্টতই বিজেপিকে একটি বার্তা দেবে, যারা ইতিমধ্যে বিজু জনতা দলের (BJD) জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও, বিজেডি দাবি করেছে, তারা এনডিএ এবং ইউপিএ উভয়ের থেকে সমান দূরত্ব বজায় রেখেছে। তবে, একথাও ঠিক, সংসদের বিভিন্ন ইস্যু এবং বিলের ক্ষেত্রে বিজেপিকে সমর্থন করেছে নবীন পট্টনায়েকের দল।
আবার, এ নিয়ে বিজু জনতা দলকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক নরসিংহ মিশ্র। তিনি দাবি করেছেন, ‘পট্টনায়েক বরাবরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সমর্থন করেছেন। অতএব, ওড়িশায় সিবিআই বা ইডির ভয় নেই’।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনমোহন সামল দাবি করেছেন, ‘সুবিধাবাদী রাজনীতি’-র পথ অনুসরণ করছে বিজু জনতা দল। তবে, কংগ্রেস ও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে BJD সহ-সভাপতি প্রসন্ন আচার্য দাবি করেছেন, ‘আমাদের রাজনীতি ওড়িশার স্বার্থে, শুধুমাত্র সেই লক্ষ্যেই আমাদের দল কাজ করে।’
প্রসঙ্গত, বুধবারই, জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর রাজ্য সভাপতি নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজু জনতা দলের সভাপতি নবীন পট্টনায়েক। তারপর, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুই নেতাই দাবি করেন, তাঁদের এই সাক্ষাৎ একান্তই ব্যক্তিগত পর্যায়ের।
নবীন পট্টনায়েক বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে নীতীশজি ভুবনেশ্বরে আছেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় একসঙ্গে কাজ করার পর থেকেই আমরা পুরনো বন্ধু এবং সহকর্মী। পুরীতে জমি নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিহারের যে সকল পর্যটক ও তীর্থযাত্রী পুরীতে ভগবান জগন্নাথের মন্দির দর্শন করতে আসেন, তাঁদের জন্য প্রায় ১.৫ একর জমি দেওয়া হবে বিহার সরকারকে।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন