তৃতীয় বারের জন্য বারাণসী কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন মোদী। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, মোদীর কোনো নিজস্ব বাড়ি, গাড়ি নেই। তবে ফকিরও নন তিনি। কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোটবন্দি ঘোষণার পর এক জনসভায় বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদী বলেছিলেন, ‘‘ওঁদের ভয় কালো টাকা হারানোর। কিন্তু আমার তো ভয় নেই। হাম তো ফকির হ্যায়। ঝোলা লেকে চলে যায়েঙ্গে।’’
হলফনামায় মোদী জানিয়েছেন, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ তিন কোটি দুই লক্ষ টাকা, যার মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াতে রয়েছে ২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে টাকা রয়েছে নগদ ৫২ হাজার ৯২০ টাকা। এছাড়া, গান্ধীনগর এবং বারাণসীর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মোট ৮০ হাজার ৩০৪ টাকা।
মোদী জানিয়ছেন, তিনি মূলত জাতীয় সঞ্চয় শংস্থাপত্রেই বেশি টাকা রাখেন। হলফনামা অনুযায়ী, জাতীয় সঞ্চয় শংস্থাপত্রে বর্তমানে রয়েছে ৯ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। এছাড়া, তাঁর কাছে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার মূল্যের চারটি সোনার আংটি রয়েছে।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর মোট আয় ছিল ২৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ সালে যা ছিল ১১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আয় অনেক টাই বেড়েছে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় মোদী জানিয়েছিলেন, গুজরাতের গান্ধীনগরে তাঁর একটি সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের রয়েছে, সেইসময় যার বাজারদর ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। ২০০২ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২৪ এর হলফনামায় এই বাড়ির উল্লেখ নেই। ওই বাড়িটি তিনি বিক্রি করেছেন কি না, তারও উল্লেখ নেই। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত সরকারি বাসভবনে থাকেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নামে আন্য কোনও কৃষিজমি নেই। তাঁর কোনও বাড়ি বা গাড়িও নেই।
হলফনামায় মোদী জানিয়েছেন, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে (আর্টস) স্নাতকত্তোর উত্তীর্ণ হন। তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনো ফৌজদারি মামলা।
হলফনামায় স্ত্রীর নাম দেওয়া থাকলেও, স্ত্রীর সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেওয়া নেই।
মঙ্গলবার বারাণসী থেকে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর প্রধানমন্ত্রী জানান, "আমি অভিভূত এবং আবেগপ্রবণ। আমি বুঝতেও পারিনি কীভাবে আপনাদের স্নেহের ছায়ায় ১০ বছর কেটে গেল। ‘আজ মা গঙ্গা নে মুঝে গোদ লে লিয়া হ্যায়' (আজ মা গঙ্গা আমাকে দত্তক নিয়েছেন)।“
আগামী ১ জুন সপ্তম দফা ভোটের দিন বারাণসীতে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন