নির্বাচন কেন্দ্রে থাকা সমস্ত ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা করা সম্ভব নয়। বিরোধীদের আর্জি খারিজ করে এমনটাই জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের আর্জিই বহাল থাকলো।
ইভিএম মেশিনের সাথে থাকা প্রতিটি ভিভিপ্যাট গণনার দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এর আগের শুনানিগুলিতেই এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছিল দেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক পরিকাঠামো। তার স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার অধিকার রয়েছে। আর সমস্ত ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বুধবার চূড়ান্ত শুনানি হয়ে গেলেও রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত।
শুক্রবার এই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, গণতন্ত্র মানে সবক'টি স্তম্ভের মধ্যে সম্প্রীতি এবং বিশ্বাস বজায় রাখা। তাই সকলের উচিত একটি পদ্ধতির ওপর বিশ্বাস করা। বিশ্বাস থাকলে আমাদের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো আরও মজবুত হয়ে উঠবে।
তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, ভোটের ফল ঘোষণার সাত দিন পরে নির্দিষ্ট অঙ্কের ‘ফি’ জমা দিয়ে ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনার আবেদন পুনরায় জানানো যেতে পারে।
মামলাকারী তাঁর আবেদনে জানিয়েছিল, নির্বাচনের জন্য সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ২৪ লক্ষ ভিভিপ্যাট কিনেছে। কিন্তু সিংহভাগ ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনাই হয়না। প্রতিটি বিধানসভায় মাত্র বাছাই করা ৫টি ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা হয়। ফলে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের গণনার মধ্যে স্বচ্ছতা থাকে না।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি সমস্ত ভিভিপ্যাট মেশিনের স্লিপ গণনা করা হয় তাহলে সেই অতীতের ব্যালট গণনার দিনে ফিরে যেতে হবে। বিচারপতিরাও একই যুক্তি দেখিয়ে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে দেন।
বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানায়, অতীতে ব্যালট পেপার গণনা নিয়ে অনেক সমস্যা হতো। সেইসব ভুলে গেলে চলবে না। সম্যসা যাতে না হয় সেই জন্যই ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। পাশাপাশি আদালত এও জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের উচিত নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখা। সকলের অভিযোগ শুনে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন