লোকসভার ময়দানে এবার এক ফ্রেমে এলেন মুর্শিদাবাদের সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ও বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার মহম্মদ সেলিমের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কর্মসূচী ছিল। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেলিমের মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলে উপস্থিত হলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
আগামী ৭ মে মুর্শিদাবাদে ভোট। তার আগে বৃহস্পতিবার এক বিশাল মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মহম্মদ সেলিম। সেলিমের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন অধীর উপস্থিত থাকবেন, সেকথা তিনি আগেই জানিয়েছিলেন। আর সেই কথা মতো এদিন অধীরকে গলায় সিপিআইএমের উত্তরীয় পরে দেখা গেল মিছিলে।
এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সেলিম জানান, “ধর্ম নিয়ে গোটা দেশজুড়ে সংঘ পরিবার যেভাবে রাজনীতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গেও সেই একইভাবে রাজনীতি করছেন মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী যখন মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছেন তখন বাম-কংগ্রেস পথে নেমে মানুষকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। এখানে সাম্প্রদায়িকতা, হিংসা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ এক হয়েছেন।“
এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা, প্রাক্তন সাংসদ বদরুদ্দোজা খান, সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ, মিনাক্ষী মুখার্জি, ধ্রুবজ্যোতি সাহা প্রমুখ।
সেলিম ছাড়াও বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিলেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মোর্তাজা হোসেন (বকুল)। অন্যদিকে, অধীরের কেন্দ্রে নির্বাচন আগামী ১৩ মে। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে তিনিও মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। সেদিন উপস্থিত থাকার কথা মহম্মদ সেলিমেরও।
উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৯ টি আসনে বাম-কংগ্রেসের জোট হয়েছে। মুখোমুখি বৈঠক ছাড়াই হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দুই দলের দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতার একসঙ্গে যৌথ কর্মসূচিতে উপস্থিতি দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে জোট নিয়ে জড়তা কাটাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন