২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে স্বামীর হয়ে ভোট প্রচার করেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যেই সেই চিত্র পাল্টে গেছে। সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে সৌমিত্র খাঁ ও সুজাতা মণ্ডলের। শুধু তাই নোয়, এবারের লোকসভায় মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিষ্ণুপুর লোকসভা থেকে। ভোটের প্রচারে পারিবারিক আক্রমণের জেরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সৌমিত্র ও সুজাতা।
লোকসভার প্রচার চলাকালীন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে রাস্তার পাশের খাবার দোকানে কিছু ভাজতে অথবা সেলুনে গিয়ে আমজনতার চুল কাটতে দেখা যাচ্ছে। আর সুজাতার এই পদক্ষেপে প্রাক্তন স্বামী তথা বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ কটাক্ষ করে বলেন, “যিনি আগে বাড়িতে কোনোদিন রান্না করেননি, তিনি এখন ভোট পাওয়ার জন্য প্রকাশ্যে এই জাতীয় জিনিসগুলি করছেন।“
এরপরেই সুজাতাকে সৌমিত্রর পরামর্শ, “তিনি কীভাবে তাঁর প্রচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন তা নিয়ে আমি সত্যিই কৌতূহলী নই। তবুও, আমি তাঁকে এই নাটক করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেব। কারণ জনগণ তাঁকে যোগ্য মনে করলে তিনি এমনিই ভোট পেয়ে যাবেন।“
সৌমিত্রের পরামর্শের জবাবে সুজাতা বলেন, "মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছোঁয়া। তাই, আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীকে 'প্রাক্তন সাংসদ' হিসেবে তাঁর লেটারহেড আগাম প্রকাশ করার পরামর্শ দেব। আসলে, তিনি শুধুমাত্র আমার প্রচারের নকল করছেন না। সাথে আমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা তাঁকে হতাশও করেছে।"
এর প্রেক্ষিতে সৌমিত্র পাল্টা বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস যদি বিষ্ণুপুর থেকে অন্য কোনো প্রার্থীকে দাঁড় করাত, তাহলে আমার জয়ের ব্যবধান হয়তো এক লাখের কাছাকাছি হতো। কিন্তু, এখন আমি নিশ্চিত যে আমার জয়ের ব্যবধান তিন লাখের কম হবে না।"
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুজাতা মণ্ডল। ওই একই দিনে সৌমিত্র সাংবাদিক সম্মেলনে করে তাঁর সাথে সুজাতার বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন