রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে আরও একবার নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “তিনি (নরেন্দ্র মোদী) নিজের জন্য ১৬ হাজার কোটি টাকার দুটি প্লেন কিনতে পারেন। নতুন সংসদ ভবনও তৈরি করতে পারেন, কিন্তু এদিকে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে পারেন না।” এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মরুরাজ্যের মানুষের জন্য একাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও পেশ করেন সোনিয়া-কন্যা।
আগামী মাসের শেষের দিকে রাজস্থান বিধানসভার ভাগ্য নির্ধারণ হবে। কংগ্রেস-বিজেপি, দুই পক্ষই নির্বাচনকে মাথায় রেখে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। বুধবার রাজ্যের ঝুনঝুনু শহরে নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে জনসভায় বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানে বিজেপি সরকারের নতুন কর্মসংস্থান নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলিই সাধারনত নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করে। কিন্তু এই সরকার সেই কোম্পানিগুলিকে তাঁদের বড় বড় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। যদি কোম্পানিগুলিকে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাতে সমানভাবে তুলে দেওয়া হতো, তাহলেও সমস্যা হতো না। কিন্তু এই সরকার বাছাই করা কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষের হাতেই সব তুলে দিয়েছে।”
দেশে মহিলা সংরক্ষণ নিয়েও প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, “মোদী সরকারের সমস্ত কথাই ফাঁপা। তারা দেশে মহিলা সংরক্ষণের কৃতিত্ব নিতে চাইছে। কিন্তু কংগ্রেসই সর্বপ্রথম পঞ্চায়েতে কোটা ব্যবস্থা চালু করে মহিলা সংরক্ষণ কার্যকর করে। ওরা এখন আইন আনছেন, কিন্তু এই বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই মহিলা সংরক্ষণ আইন কবে থেকে কার্যকরী হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।” পুরনো পেনশন প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী জানিয়েছেন, “কংগ্রেস ওল্ড পেনশন স্কিম নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু বিজেপি এখনও তার জন্য তৈরি নয়।”
বুধবার রাজস্থানের মানুষের জন্য একাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এখানে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় এলে রাজস্থানের প্রত্যেক পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতিবছর ৩টি কিস্তিতে মোট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রায় ১.০৫ কোটি পরিবারকে ৫০০ টাকা মূল্যেই এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ৭৬ লক্ষ পরিবার এই সুবাধা পান।”
জনসভায় রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে প্রিয়াঙ্কা নিজেকে শহিদের মেয়ে ও নাতনি বলেও পরিচয় দেন। তিনি বলেন, “আমি একজন শহিদের মেয়ে এবং একজন শহিদের নাতনি। আমি জানি দেশের জন্য ত্যাগের মূল্য কী হতে পারে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন