কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা থাকলে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে সেই প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবার ব্যাখ্যা দিতে হবে। শনিবার নির্বাচনের সময়সূচী প্রকাশের আগে এমনই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনের। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ওই প্রার্থীকে সংবাদ মাধ্যমে তিনবার নিজের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
শনিবার দুপুর তিনটেয় বিজ্ঞানভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সময়সূচী প্রকাশের আগে তিনি জানান, ‘‘সব রাজনৈতিক দলকে অপরাধের ‘রেকর্ড’ থাকা প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। প্রার্থীদের অন্তত তিন বার সংবাদমাধ্যমে নিজেদের সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।’’
কমিশনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওই প্রার্থীকে নিজেদের সম্পর্কে স্থানীয় সহ জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমে তিনবার তথ্য প্রকাশ করতে হবে। তথ্য আপলোড করতে হবে সেই সেই দলগুলির ওয়েবসাইটেও। ভোটাররা প্রার্থীদের সম্পর্কে জানতে পারবে কেওয়াইসি আবেদনে।
১৮ তম লোকসভা ভোট শুরু হবে ১৯ এপ্রিল এবং শেষ হবে ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। সারা দেশে ভোট হবে ৭ দফায়। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের জন্য প্রত্যেকটি দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। শনিবার নির্বাচন ঘোষণার সময় থেকেই জারি হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। ২০১৯ –এর লোকসভায় বাংলায় সাত দফায় ভোট হয়েছিল। এবারের লোকসভার সঙ্গে ২৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনও হবে। এছাড়া তৃতীয় দফা ভোটের দিন ভগবানগোলা ও সপ্তম দফা ভোটের দিন বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার শনিবার জানান, ১৯৫০ নম্বরে অভিযোগ পাওয়ার ১০০ মিনিটের মধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো সন্ত্রাসের অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী সন্ত্রাস রুখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়াও সন্ত্রাস রুখতে জেলায় জেলায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থাকবে, বলেই জানিয়েছেন রাজীব কুমার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন