ভারত জোড়ো যাত্রায় নেমে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন - ‘নফরত কে বাজার মে মহব্বত কি দুকান খোলনে আয়া হু’। কর্ণাটকের নির্বাচনী ফলাফলে সামনে আসার পরেই, সেই একই সুর শোনা গেল রাহুল গান্ধীর গলায়।
শনিবার, সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্ণাটকের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কর্ণাটক মে নফরত কি বাজার বন্ধ হো চুকে হ্যায়, অর মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।‘ অর্থাৎ, কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। ভালবাসার দোকান খুলে গিয়েছে।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমি সবার আগে কর্ণাটকের বাসিন্দা, কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই নির্বাচনে একদিকে ছিল ক্রনি পুঁজিবাদীদের ক্ষমতা, অন্যদিকে ছিল জনগণের শক্তি। এবং জনগণের শক্তিই পুঁজিবাদীদের পরাজিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘‘অন্যান্য রাজ্যেও এটা হবে। আমার ভালো লাগছে যে, আমরা এই লড়াই করেছি ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে। কর্ণাটকের মানুষ আমাদের বলেছে, এ দেশ প্রেম ভালোবাসে। কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে প্রেমের দোকান খুলেছে।‘
রাহুল গান্ধী আরও জানান, ‘এই জয় কর্ণাটকের জয়। আমরা নির্বাচনে কর্ণাটকের জনতার কাছে পাঁচটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সেটা পূরণ করব।‘
এদিকে, এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে দলের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমার- সকলের গলায় শোনা গিয়েছে রাহুলের প্রশংসা। সকলেই রাহুল গান্ধীর কর্ণাটকের নির্বাচনী ফলাফলে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ভূমিকা তুলে ধরেছেন। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ২১ দিন ধরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধী।
এদিকে, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন রাহুল গান্ধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন