জরুরি অবস্থার সময় শিখদের ছদ্মবেশ ধারণ করে আন্ডারগ্রাউন্ড ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাঞ্জাবে ভোটের একদিন আগে শুক্রবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে শিখ নেতাদের সাথে আলাপকালে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিখ নেতাদের সাথে আলাপকালে তিনি বলছেন, "এই দেশ ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয়নি। আমাদের গুরুরা অনেক খারাপ সময়ের মধ্যদিয়ে গিয়েছেন। জরুরী অবস্থার সময় আমরা প্রচুর নিপীড়ন সহ্য করেছি। আমি সেইসময় আন্ডারগ্রাউন্ড ছিলাম। লুকানোর জন্য আমি শিখদের ছদ্মবেশ ধারণ করতাম। মাথায় পাগড়ি পরতাম।"
এরপরই কংগ্রেসের সমালোচনা শুরু করে তিনি বলেন, "১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় শিখদের উপাসনালয় কর্তারপুর সাহিবের ভারতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। কর্তারপুর পাঞ্জাব থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানে চলে গিয়েছে। কর্তারপুরকে ভারতে রাখার চুক্তি করতে পারেনি তারা। আমি যখন পাঞ্জাবে থাকতাম তখন দূরবীনের সাহায্যে কর্তারপুর সাহিব দেখতাম। তখন থেকেই আমি ভেবে রেখেছি আমাদের কিছু একটা করতে হবে। গুরুদের আশীর্বাদে এই পবিত্র কাজটি করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এত অল্প সময়ে আমরা যা করেছি, সঠিক নিষ্ঠা ছাড়া সম্ভব হতো না।"
আফগানিস্তান থেকে গুরু গ্রন্থসাহিব ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আফগানিস্তান থেকে সম্মানের সাথে গুরু গ্রন্থ সাহিব ফিরিয়ে আনতে হবে। আমি একটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করছি। আমি আমার মন্ত্রীদের বলেছি শ্রদ্ধার সাথে এটি ফিরিয়ে আনতে হবে। গুজরাটের বাসিন্দা হিসেবে আমি বলতে চাই যে আপনাদের রক্তের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ গুরু গোবিন্দ সিংয়ের একটি পূণ্য প্রয়াস গুজরাট থেকে হয়েছিল।"
খাবারের সময় প্রধানমন্ত্রী নিজে শিখ নেতাদের হাতে প্লেট তুলে দিয়ে বলেন, "আমি আজ আপনাদের সেবা করতে চাই।" তিনি শিখ নেতাদের শিক্ষা অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন বলে জানান। শিখ নেতারা তাঁকে মাথায় পরার শিরোপা এবং অস্ত্র উপহার দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রবিবার পাঞ্জাবে একদফায় বিধানসভা নির্বাচন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন