শনিবার ঘোষিত হতে চলেছে লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট। তার আগে বৃহস্পতিবার কৃষকদের ৫ গ্যারান্টির কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে 'কৃষকদের কণ্ঠস্বর' হয়ে উঠবে কংগ্রেস সরকার। কৃষকদের সুরক্ষিত রাখাই হবে সেই সরকারের নীতি।
বৃহস্পতিবার 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' চলাকালীন মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার চাঁদওয়াড়ায় কৃষক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে রাহুল জানান, কংগ্রেস ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সুনিশ্চিত করবে।
পাশাপাশি, কৃষকদের কৃষি ঋণ মকুব এবং এর পরিমাণ নির্ধারণে স্থায়ী 'কৃষি ঋণ মকুব কমিশন' গঠন করা হবে। চাষে ক্ষতি হলে বিমা পরিকল্পনা পরিবর্তন ঘটিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সেই টাকা কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করে দেওয়ার গ্যারান্টি সুনিশ্চিত করা, কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই আমদানি-রপ্তানি নীতি রূপায়ণ করা, কৃষিপণ্যকে জিএসটি-মুক্ত করার প্রতিশ্রুতির দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
এদিনের সমাবেশে রাহুল বলেন, "নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশের ২০-২৫ জনের হাতে ৭০ কোটি মানুষের সম্পদ পুঞ্জিভূত হয়ে আছে। পুঁজিপতিদের ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে একতরফাভাবে। অথচ পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ৭০ হাজার কোটি কৃষি ঋণ মকুব করে দিয়েছিল। দেশের ধনীরা যদি ঋণে মকুব পেয়ে থাকেন তাহলে গরিব কৃষকরা কেন সেই সুযোগ পাবেন না?"
এই প্রসঙ্গে এদিন রাহুল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “দেশের সমস্ত অন্নদাতাকে কুর্ণিশ জানাই। কৃষকদের সমস্যা সমূলে উৎপাটিতের লক্ষ্যেই ওই পাঁচ গ্যারান্টি ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। দেশের কৃষকরা যাতে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারেন সেজন্যই ওই পাঁচ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দল।“
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে কৃষক আন্দোলন। পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে চলছে দিল্লিমুখী প্রতিবাদী কৃষকদের আন্দোলন। সংযুক্ত কিষান মোর্চা ডাকে একটার পর একটা কিষান মহাপঞ্চায়েত হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন