আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। এই যাত্রায় উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিক ও আদিবাসীদের সাথে কথা বলতে চান রাহুল গান্ধী। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র পর এবার মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত পূর্ব থেকে পশ্চিমে 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' করবে কংগ্রেস। ১৪ জানুয়ারি থেকে সেই যাত্রার সূচনা করবেন রাহুল গান্ধী। এই যাত্রা ২৫-২৬ জানুয়ারি মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে। রাহুলের যাত্রাপথ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক করেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নেতৃত্বরা।
বৈঠক থেকেই জানা গেছে, কোচবিহারের বক্সীর হাটে পদযাত্রা প্রবেশ করবে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি হয়ে বিহারে চলে যাবে যাত্রা। তবে বিহার থেকে ফের উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে যাত্রা যাবে ঝাড়খণ্ডে। সূত্রের খবর, এই যাত্রার মাঝখানেই রাজ্যের চা শ্রমিক, আদিবাসী জনজাতির অভাব অভিযোগ শুনতে চান রাহুল গান্ধী। তারই ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয় বৈঠকে। রাজ্যে মোট ৫ দিন চলবে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির নেতা কে বি বৈজু, রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক পি সিং, রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যে ছিলেন পিনাকী সেনগুপ্ত, মনোজ চক্রবর্তী, বিনয় তামাং, শঙ্কর মালাকার সহ অন্যান্য নেতারা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে রাহুল গান্ধী উত্তরবঙ্গকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন। কারণ লোকসভার আসন সংখ্যার নিরিখে উত্তরবঙ্গেই এগিয়ে আছে বিজেপি। কোচবিহার থেকে মালদহ উত্তর পর্যন্ত ৭টি আসনেই ২০১৯ সালে জিতেছিল বিজেপি। ফলে সেখানকার মানুষদের ভোট যদি কংগ্রেসের দিকে ফেরানো যায় তাহলে কিছুটা হলেও দুর্বল হবে বিজেপি। ফলে লোকসভা নির্বাচনে যে উত্তরবঙ্গ বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকে নিতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন