কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জড়ো যাত্রা’ সাধারণ মানুষের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই জনসংযোগের জন্য ফের একবার ‘যাত্রা’য় নামছেন রাহুল। এবার উত্তর-পূর্বের মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বই পর্যন্ত হাঁটবেন তিনি। তাঁর এই যাত্রার নাম - ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের ইম্ফল শুরু হবে এই যাত্রা। দুমাসেরও বেশি সময় ধরে পথ হাঁটার পর ২০ মার্চ মুম্বাইয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে। ৬,২০০ কিমির এই যাত্রাপথে ১৪টি রাজ্যের মোট ৮৫টি জেলা অতিক্রম করবেন রাহুল গান্ধী।
এবারের যাত্রায় যে যে রাজ্যগুলি রাহুল গান্ধী অতিক্রম করবেন সেগুলি হল - মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় ও রাজস্থানে সদ্য নির্বাচন হয়েছে এবং তিন রাজ্যেই জয়ী হয়েছে বিজেপি।
দেশের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এই ন্যায় যাত্রার উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।
ন্যায় যাত্রার সূচনাস্থল হিসেবে মণিপুরকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, মণিপুরের মানুষের দুঃখ এবং দুর্দশায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের দল এখানকার মানুষের ক্ষত নিরাময় করতে চায়।
যদিও বিজেপির দাবি ‘ভারত জড়ো যাত্রা’র মতো এই যাত্রাও ব্যর্থ হবে। বিজেপির মুখপাত্র নলিন কোহলি বলেন, "ভারতের জনগণ খুব স্পষ্টভাবে ভারত জোড়ো যাত্রাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। এই যাত্রাকেও করবে। কংগ্রেস মনে করে কিছু স্লোগান তৈরি করে ভারতের জনগণকে বোকা বানানো যেতে পারে। কিন্তু সেটা সম্ভব না। ২০১৪ সাল থেকে দেশের মানুষকে ন্যায় দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন