রাজস্থানে নবনির্বাচিত ১৯৯ জন বিধায়কের মধ্যে ২২ শতাংশের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ আছে। যা বিগত ২০১৮ সালে নির্বাচিত বিধায়কদের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। রাজস্থানে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবার পর এই তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)। নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে কমপক্ষে ১ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এবং ৬ জনের ক্ষেত্রে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আছে বলেও জানিয়েছে এডিআর।
এডিআর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী রাজস্থান বিধানসভায় নবনির্বাচিত ১৯৯ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ আছে। ২০১৮ সালে নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ২৮ জনের বিরুদ্ধে বা ১৪ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ছিল।
এডিআর-এর পক্ষ থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।
এডিআর রিপোর্ট অনুসারে, রাজস্থান বিধানসভার নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে বিজেপির ২৪ জনের বিরুদ্ধে এবং কংগ্রেসের ১৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে। শতাংশের বিচারে যা যথাক্রমে ২৪ ও ৬৯। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ১১৫ জন এবং কংগ্রেসের ৬৯ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
এডিআর-এর তথ্য অনুসারে ৬১ জন বা ৩১ শতাংশ বিধায়কের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৬ বা ২৩ শতাংশ।
এছাড়াও এডিআর জানিয়েছে নবনির্বাচিত বিধায়কদের ৮৫ শতাংশই কোটিপতি। অর্থাৎ ১৯৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১৬৯ জনই কোটিপতি। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৫৮।
এঁদের মধ্যে ৭৮ জন জানিয়েছেন তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি বা তার বেশি। সবচেয়ে বেশি সম্পদের অধিকারী বিকানীরের রানী সিদ্ধি কুমারী। যিনি এবারের নির্বাচনে বিজেপির মনোনয়নে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০২ কোটি। অন্যদিকে হনুমানগড়ের বিধায়ক অভিমন্যুর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা।
উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির নবনির্বাচিত ১১৫ জন বিধায়কের মধ্যে ১০১ জন বা ৮৮ শতাংশই কোটিপতি। অন্যদিকে কংগ্রেসের ৬৯ জন বিধায়কের মধ্যে ৫৮ জন বা ৮৪ শতাংশই কোটিপতি।
নবনির্বাচিত ৮জন নির্দল বিধায়কও হলফনামায় নিজেদের কোটিপতি বলে জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন