রাজস্থানের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান মুখ হিসেবে অন্যদের অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। এবিপি-সি ভোটারের সাম্প্রতিক এক জনমত সমীক্ষা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
জনমত সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে বিজেপির গুড বুকে না থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে বসুন্ধরা রাজের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৫.৮ শতাংশ মানুষ। বিজেপির গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত পেয়েছেন ৯ শতাংশ ভোট। অন্য দুই বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র রাঠোর এবং অর্জুন মেঘাওয়াল পেয়েছেন যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ৬.৫ শতাংশ ভোট।
জনমত সমীক্ষায় ৫৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন বিজেপির উচিত মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও নাম ঘোষণা করে নির্বাচনে যাওয়া উচিত বিজেপির।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ জানিয়েছেন অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্দিষ্ট করে কংগ্রেসের ভোটে যাওয়া উচিত। ২৯.৭ শতাংশ মানুষ এই ক্ষেত্রে শচীন পাইলটের নাম বলেছেন। যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে ২৩ শতাংশ মানুষ পাইলট বা গেহলট কারোর পক্ষেই মত দেননি।
এই সমীক্ষা জানিয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ী হবার সম্ভাবনা প্রবল। রাজ্যের ২০০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপি পেতে পারে ১১৪ আসন। সেক্ষেত্রে বিজেপির লাভ হবে ৪১ আসন। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৩ আসন।
অন্যদিকে সমীক্ষা অনুসারে কংগ্রেস পেতে পারে ৮৩ আসন। যা কংগ্রেসের আগের বারের প্রাপ্ত আসনের থেকে ১৭টি কম। বিগত নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ১০০ আসন।
এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা অনুসারে বিজেপির পক্ষে ৭ শতাংশ ভোট সুইং হবার সম্ভাবনা এবং বিজেপি পেতে পারে ৪৫.৮ শতাংশ ভোট। গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩৮.৮ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ১.৭ শতাংশ ভোট বাড়তে পারে কংগ্রেসেরও। কংগ্রেসের ভোট বেড়ে হতে পারে ৪১ শতাংশ।
সমীক্ষা জানিয়েছে, বিএসপি এবং অন্যান্য দলের ভোট এবার উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। যে কারণে বিজেপি এবং কংগ্রেস – দুই যুযুধান পক্ষেরই ভোট বাড়তে চলেছে।
সাধারণ মানুষের বক্তব্য, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। যদিও দরিদ্র সীমার নীচে থাকা নাগরিকদের জন্য ৫০০ টাকা মূল্যে এলপিজি সিলিন্ড্যার কংগ্রেসকে নির্বাচনে সুবিধা দেবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন