গুরুদ্বার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন রাজস্থান বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সন্দীপ দায়িমা। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হল তাঁকে। রবিবার মরুরাজ্যের বিজেপি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির প্রধান ওংকার সিংহ লাখাওয়াত জানিয়েছেন, “রাজ্য সভাপতির নির্দেশে দলীয় আদর্শের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হল সন্দীপ দায়িমাকে।”
হাতে গোনা আর কয়েকদিন পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রেক্ষাপটেই রাজস্থানের আলওয়াড়ে নির্বাচনী প্রচার মিছিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা সন্দীপ জানান, “মসজিদ ও গুরুদ্বারগুলি আগামী দিনে উন্মুক্ত ক্ষত হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই এগুলিকে অবিলম্বে উপড়ে ফেলা উচিত।” তাঁর এই বক্তব্যকে কোনোভাবেই ভালো চোখে দেখেননি পড়শি রাজ্য পাঞ্জাবের বিজেপি নেতারা। সে রাজ্যের একাধিক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা-সহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সন্দীপের অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন।
শনিবার এই নিয়ে টুইটারে (বর্তমানে X) পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “মসজিদ ও গুরুদ্বার নিয়ে হিংসামূলক মন্তব্য করার জন্য সন্দীপ দায়িমাকে দল থেকে বহিষ্কারের আবেদন জানাচ্ছি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তাঁর মন্তব্য মানুষের মনে ইতিমধ্যেই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে, তাই এখন আর তাঁর ক্ষমা চেয়ে কোনও লাভ হবে না। শুধু বহিষ্কার করাই যথেষ্ট হবে না, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপও নিতে হবে। উস্কানিমূলক হিংসাত্মক মন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেই তাঁকে ছাড় দেওয়া যায় না।”
প্রসঙ্গত, নিজের মন্তব্যের মন্তব্যের পরেই তা নিয়ে ক্ষমা চেয়ে সন্দীপ জানিয়েছিলেন যে, তিনি আসলে ‘মসজিদ ও মাদ্রাসা’ বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে ‘গুরুদ্বার’ বলে ফেলেছেন তিনি। তবে রাজস্থান বিজেপির ওই নেতার ক্ষমাপ্রার্থনা পাঞ্জাব নেতাদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারেনি। পাঞ্জাব বিজেপির প্রধান সুনীল জাখর এই নিয়ে জানিয়েছেন, “রাজস্থানের নেতার ওই বক্তব্য কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়।” এমনকি, মরুরাজ্যের ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে চণ্ডীগড় পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন পাঞ্জাব বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান জয় ইন্দর কৌর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন