দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সম্ভবত কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নই করতে চলেছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। সূত্র অনুসারে, জুন মাসেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তিনি নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করতে পারেন। সম্ভবত আগামী ১১ জুন তাঁর বাবা রাজেশ পাইলটের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন তিনি নতুন দলের ঘোষণা করবেন। পাইলটের নতুন দলের নাম হতে পারে ‘প্রগতিশীল কংগ্রেস’।
জানা যাচ্ছে, তাঁকে এই কাজে সহায়তা করছেন আই প্যাকের প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে পাইলটের এই ধরণের সিদ্ধান্তে বিপদের মুখে পড়বে কংগ্রেস।
জানা গেছে, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক টিম বর্তমানে নতুন দল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় শচীন পাইলটকে সহায়তা করছেন। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, গত ১১ এপ্রিল শচীন পাইলট একদিনের যে অনশন কর্মসূচী নিয়েছিলেন তাও তিনি প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই করেছেন। এছাড়াও গত ১৫ মে আজমেঢ় থেকে জয়পুর পদযাত্রার পরামর্শদাতাও আই-প্যাক।
গত ১৫মে থেকে চলা পদযাত্রার সময় একাধিক জনসভা করেছেন শচীন পাইলট। যেসব জনসভা থেকে তিনি রাজস্থানের পূর্বতন বিজেপি সরকারের দিকে যেমন অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, তেমনই অভিযোগ এনেছেন নিজের দল, কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের দিকেও।
ওই সময় জয়পুরের কাছে যে জনসভা শচীন পাইলট করেন, সেই সভা থেকে তিনি পূর্বতন বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে করার দাবি জানান। এছাড়াও ওই সভা থেকেই রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশন পুনর্গঠনের দাবি এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস হবার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলেন পাইলট। ওই মিটিং থেকেই পাইলট ঘোষণা করেছিলেন, যদি তাঁর দাবি ৩১মে-র মধ্যে না মানা হয় তাহলে তিনি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করবেন।
দীর্ঘদিন থেকেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে চূড়ান্ত মতদ্বৈধতা চলছে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের। একসময় অশোক গেহলটের বিরুদ্ধাচরণ করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বিক্ষুব্ধ শচীন। এরপরেই তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত ২৯ মে পাইলট গেহলট দ্বন্দ্ব মেটাতে বৈঠকে বসেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইসময় বিস্তারিতভাবে কিছু না জানালেও গত ৩১ মে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র টঙ্ক-এ গিয়ে সাংবাদিকদের পাইলট জানান, তিনি গেহলট সরকারের কাছে যে তিনটি দাবি তুলে ধরেছেন তার সঙ্গে কোনোভাবেই সমঝোতা করবেন না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন