সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমেঠিতে প্রার্থী ঘোষণা করলো কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী নন, কংগ্রেস ভরসা রাখলো এক সময়ে রাজীব গান্ধীর অনুগামী কিশোরীলাল শর্মার ওপর। বিজেপির কাছ থেকে সেই আসন তিনি ছিনিয়ে আনতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
বেশ কিছু দিন ধরেই আমেঠি থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন রবার্ট বঢরা। তিনি জানিয়েছিলেন আমেঠির মানুষ তাঁকে চায়। কিন্তু কংগ্রেসেরই একাংশ রবার্টকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না বলে খবর। সবদিক বিবেচনা করে কিশোরীলালকে প্রার্থী করলো কংগ্রেস।
একসময়ের কংগ্রেস গড়ে প্রার্থী হয়ে কিশোরীলাল বলেন, 'আমি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমার মতো একজন ছোটো কর্মকর্তাকে তাঁদের পারিবারিক ঘাঁটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি নির্বাচন জেতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করবো। গত ৪০ বছর ধরে এই লোকসভা কেন্দ্রে আমি সংগঠনের কাজ করে আসছি'।
রাজীব গান্ধীর অনুগামী ছিলেন কিশোরীলাল শর্মা। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় বাড়ি তাঁর। তাঁকে ১৯৮৭ সালে আমেঠির সংগঠনের দায়িত্ব দেন রাজীব গান্ধী নিজেই। এমনকি রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে সতীশ শর্মাকে জয়ী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন কিশোরীলাল শর্মা। শুধু সতীশ শর্মাই নন, ১৯৯৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর হয়েও নির্বাচনের দায়িত্ব সামলেছিলেন এই কিশোরীলাল।
আমেঠির ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই কেন্দ্র। এই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। এছাড়া কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন সঞ্জয় গান্ধী, সতীশ শর্মা। ২০০৪ সাল থেকে আমেঠি কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাহুল গান্ধী। যদিও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানীর কাছে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে স্মৃতি ইরানী পেয়েছিলেন ৪,৬৭,৫৯৮ ভোট এবং রাহুল গান্ধী পান ৪,১২,৮৬৭ ভোট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন