মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক আসনে নির্বাচনী অঙ্কে হেরফের ঘটিয়ে দিতে পারেন দুই প্রধান দল বিজেপি ও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বেশ কিছু আসনে বিক্ষুব্ধদের কারণে প্রত্যাশিত ফলাফল বদলে যেতে পারে।
আগামী ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। যে নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে এবার হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেস অথবা বিজেপি – যে কোনও দলই সরকার গঠন করতে পারে।
এখনও পর্যন্ত ২২৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস এবং ২২৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সূত্র অনুসারে কমপক্ষে ২৪টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হতে না পেরে বিক্ষুব্ধদের একটা বড়ো অংশ সরাসরি বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কিছু নেতা আবার শিবির বদলের রাস্তায় হেঁটেছেন। নেতা ও কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে দাতিয়া, গোটেগাও এবং পিছোড়ে - এই তিন আসনে প্রার্থী বদল করতে বাধ্য হয়েছে কংগ্রেস।
একই অবস্থা বিজেপিতেও। প্রার্থী হতে না পেরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ বাড়ছে বিজেপি শিবিরে। বেশ কিছু বিজেপি নেতা, দুই বর্তমান বিজেপি বিধায়ক বীরেন্দ্র রঘুবংশী এবং নারায়ণ ত্রিপাঠী ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন। এঁরা দুজনেই টিকিটের আশায় কংগ্রেসে যোগ দিলেও কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় তাঁদের জায়গা হয়নি।
কংগ্রেস এবং বিজেপির বেশ কিছু নেতা নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে যোগ দিয়েছেন বিএসপি, আপ এবং সমাজবাদী পার্টিতে। বেশ কিছু কেন্দ্রে এইসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাঁদের ব্যক্তিগত প্রভাবের কারণে ফলাফলে হেরফের ঘটিয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক জনমত সমীক্ষায় যে ফলাফল উঠে এসেছে তারও বদল হতে বাধ্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও জানিয়েছেন, যদি বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে কোনও পক্ষই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় সেক্ষেত্রে ছোটো ছোটো দলের বিধায়করাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কিং মেকার হয়ে উঠবেন। কারণ তাঁদের ওপরেই তখন নির্ভর করবে সরকার গঠনের অঙ্ক।
দলীয় নেতা কর্মীদের এই বিক্ষোভে রাজ্যের যুযুধান দুই শিবিরই উদ্বিগ্ন। বিজেপি এবং কংগ্রেস – দুই দলের পক্ষ থেকেই দলের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের বোঝানোর জন্য বিশিষ্ট নেতৃত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিক্ষুব্ধরা কোনও কথা শুনতে নারাজ। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে অন্তর্ঘাত-এর বিষয়টিও উড়িয়ে না দিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে দুই দলই।
(with Agency inputs)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন