আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিহারে মহাজোটবন্ধন শরিক দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আরজেডি এবং জেডি(ইউ) ১৬টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিহারের মোট ৪০ লোকসভা আসনের মধ্যে বাকি ৮টি ছেড়ে রাখা হয়েছে কংগ্রেস এবং বামেদের জন্য। যেখানে ৬টি আসন রাখা হয়েছে কংগ্রেসের জন্য এবং ২টি বামেদের জন্য। সূত্র অনুসারে আরজেডি এবং জেডিইউ - দুই পক্ষের আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শেষে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। আরজেডি এবং জেডিইউ এর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় একটি আসন কমবেশি হতে পারে।
গতকাল দুজনের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে তা না জানা গেলেও সূত্র অনুসারে তেজস্বী যাদব ওই বৈঠকে তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ যাদবের প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে আরজেডি এবং জেডিইউ-কে লালুপ্রসাদ যাদব সমান সমান আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সূত্র অনুসারে এক্ষেত্রে লালুপ্রসাদ যাদব ২০১৫ সালের ফর্মুলায় নির্বাচনে লড়ার কথা জানিয়েছেন। সেবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩ আসনের মধ্যে আরজেডি এবং জেডিইউ ১০০টি করে আসনে লড়াই করে এবং কংগ্রেসকে ৪৩টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়।
২০১৯ বিহার লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউ ১৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেইসময় জেডিইউ এনডিএ শরিক হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করে। সেবার ১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেডিইউ জয়ী হয় ১৬ আসনে। ১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৭টিতেই জয়ী হয় বিজেপি এবং ৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবকটিতেই জয়ী হয় রামবিলাস পাশোয়ানের এলজেপি। মহাজোটের অংশীদার হিসেবে শুধুমাত্র কিষাণগঞ্জ আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস।
বিহারের রাজনীতিতে জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমার আসন নিয়ে দরকষাকষিতে সিদ্ধহস্ত বলে পরিচিত। তিনি ২০১৫, ২০১৯ এবং ২০২০ তে সেভাবেই নিজের দলের জন্য আসন সমঝোতা করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এবারেও তিনি ১৭ আসনের দাবি জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে বামেদের জন্য বরাদ্দ দুটি আসন থেকে ১টি আসন জেডিইউকে দেওয়া হতে পারে। কারণ কংগ্রেসকে ৬ আসনের কমে রাজি করানো যাবে না।
ইন্ডিয়া মঞ্চের চতুর্থ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সেইদিকে লক্ষ্য রেখে বিহারের মূল দুই রাজনৈতিক দল জেডিইউ ও আরজেডি আগেভাগেই নিজেদের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করেছেন। এখন ইন্ডিয়া মঞ্চের পরবর্তী বৈঠকে কংগ্রেস সেই শর্ত মানে কিনা সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন