তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
সায়ন্তিকার এই আচমকা সিদ্ধান্তে কিছুটা হতবাক বাংলার রাজনৈতিক মহল। তবে রবিবারই এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তালিকায় প্রায় ২৬টি নতুন নাম থাকলেও টিকিট পাননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
যদিও নিজের পদত্যাগপত্রে অভিনেত্রী লিখেছেন “একান্তই ব্যক্তিগত’ কারণে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, “আমি গত ৩ বছর ধরে দলের সামগ্রিক রাজনৈতিক-প্রতিবাদী এবং উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দলের সুনির্দিষ্ট আদর্শ অনুসরণ করে সমস্ত কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে আংশগ্রহণ করেছি। এই পর্যায়ে, আমি দলের সমস্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।“
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যও কামনা করেছেন তিনি।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। যদিও বিজেপির নীলাদ্রিশেখর দানা-র কাছে হেরে যান তিনি। এরপর দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। গত তিন বছর ধরে অধিকাংশ সময় বাঁকুড়াতেই থেকে দলের কাজকর্ম দেখাশোনা করছেন তিনি।
সায়ন্তিকার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া লোকসভা থেকে টিকিট পাবেন বলে আশা করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ব্রিগেড সমাবেশে বাঁকুড়া কেন্দ্রে অরূপ চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করা হয়। বাঁকুড়ার আর এক লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুর থেকে প্রার্থী করা হয় সুজাতা খাঁকে। এরপর সভা শেষের অপেক্ষা না করেই মঞ্চ ছাড়েন অভিনেত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন