ভোটের আগে বিনামূল্যে যা ইচ্ছা সুবিধার প্রতিশ্রুতি, কেন্দ্র-কমিশনের প্রতিক্রিয়া চাইলো Supreme Court

প্রধান বিচারপতি N V Ramana-র নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই বিষয়ে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ সিং আবেদনকারী অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে ছিলেন।
সুপ্রীম কোর্ট
সুপ্রীম কোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে নোটিশ জারি করে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলো। ওই জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জনসাধারণের তহবিল থেকে অযৌক্তিক বিনামূল্যের প্রতিশ্রুতি বা বিতরণের ঘোষণা করে। যা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী, এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতা নষ্ট করে।

প্রধান বিচারপতি এনভি রমানার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই বিষয়ে যুক্তি শোনার পর কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ সিং আবেদনকারী অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে ছিলেন। এই জনস্বার্থ মামলায় শীর্ষ আদালতের কাছে নির্দেশ চেয়ে বলা হয়, নির্বাচনের আগে জনসাধারণের তহবিল থেকে অযৌক্তিক বিনামূল্যের প্রতিশ্রুতি, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ১৬২, ২৬৬(৩) এবং ২৮২ লঙ্ঘন করে৷

আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ভোটারদের তাদের পক্ষে প্রলুব্ধ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিশ্রুতি ঘুষ এবং অযাচিত প্রভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আম আদমি পার্টি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রত্যেক মহিলাকে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং শিরোমণি আকালি দল (এসএডি) মহিলাদের প্রলুব্ধ করার জন্য প্রত্যেক মহিলাকে ২,০০০ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং কংগ্রেসও প্রতি মাসে ২,০০০ টাকা এবং প্রতি বছর প্রতি গৃহিণীকে ৮টি গ্যাস সিলিন্ডারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আবেদনের বক্তব্য অনুসারে, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশুদ্ধতার সঙ্গে যদি আপস করা হয় তবে প্রতিনিধিত্বের ধারণাটি শূন্য হয়ে যায়। বর্তমানে নির্বাচনের মুখে অর্থের বিতরণ এবং বিনামূল্যের কোনো কিছু দেবার প্রতিশ্রুতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ব্যবস্থায় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পাঞ্জাবের প্রতি মাসে ১২ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন, শিরোমণি আকালি দল ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন যে রাজ্যের জিএসটি সংগ্রহ মাত্র ১,৪০০ কোটি টাকা।

পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, "ঋণ পরিশোধের পর, পাঞ্জাব সরকার বেতন-পেনশন পর্যন্ত দিতে পারছে না, তাহলে বিনামূল্যে কীভাবে কিছু দেবে? আসল সত্য হল প্রতি বছর পাঞ্জাবের ঋণ বাড়ছে। রাজ্যের বকেয়া ঋণ বেড়ে ৭৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বর্তমান আর্থিক বছরেই ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ বেড়েছে।"

- with IANS inputs

সুপ্রীম কোর্ট
Supreme Court: প্রাক্তন বর্তমান MP, MLA-দের বিরুদ্ধে ১২১ মামলা বিচারাধীন, ৫৮টিতে হতে পারে যাবজ্জীবন

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in