ভোট গণনার কাজে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না কোনো স্কুল শিক্ষককে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের কোনো সরকার বা সরকারপোষিত স্কুলের স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী, কোনো শিক্ষকেই কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত করা যাবে না।
উল্লেখ্য, কমিশনের নিয়মানুযায়ী, ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটানিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে, প্রার্থীর উপস্থিতিতে চলে গণনা। কিন্তু প্রার্থীর পক্ষে সমস্ত গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকাটা সম্ভব হয় না। সেকারণেই গণনা পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রার্থীরা এজেন্ট নিযুক্ত করেন। প্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসাবে গণনা পর্যবেক্ষণ করেন সেই এজেন্টরা।
আর এবার সেই এজেন্ট হিসাবে কোনো শিক্ষকে নিযুক্ত করা যাবে না, এই মর্মে নির্দেশ জারি করেছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই কাজে কোনো সরকারি কর্মচারি থাকলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠতে পারে। এছাড়া এজেন্টকে গণনার নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত থাকতে হয়।
যদিও, শুধু শিক্ষক নয়, কোনো সরকারি কর্মচারিকেই এই কাজে নিযুক্ত করা যাবে না, কমিশনের এই নিয়ম ছিল আগে থেকেই। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মচারিদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। সেকারণেই শেষ দফা ভোটের আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ফের একবার নির্দেশিকা জারি করে সেটা স্পষ্ট করল।
১ জুন শেষ দফার নির্বাচন। তারপর ৪ জুন ভোট গণনা। সেদিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে লোকসভা ভোটের ফলাফল। আর তার আগে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কোনো শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন