তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রকে বসে ধ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রায় দু'দিন ধরে চলবে এই ধ্যান। তার আগে দক্ষিণ ভারতের এই স্থানকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে।
ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যাকুমারী। এই স্থানেই অবস্থিত বিবেকানন্দ রক। নরেন্দ্র মোদী ধ্যানের জন্য এই স্থানকেই বেছে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজারের বেশি পুলিশকর্মী। এছাড়া নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরাও এসে উপস্থিত হয়েছেন বিবেকানন্দ রকে। মোদী যতক্ষণ ধ্যান করবেন ততক্ষণ পর্যটকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মোদীর সফরের আগেই পুলিশ সুপার ই সুন্দরভাথানম এবং তিরুনেলভেলি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবেশ কুমার কন্যাকুমারীর সমস্ত জেটি, গেস্ট হাউস, হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন।
৩০ মে অর্থাৎ আজ নির্বাচনী প্রচার শেষ করার পরই বিবেকানন্দ রকে ৪৫ ঘন্টা ধ্যানে বসবেন মোদী। বিজেপি নেতাদের কথায়, মোদীজির পথপ্রদর্শক বিবেকানন্দকে অনুসরণ করেই এই ধ্যান করবেন নরেন্দ্র মোদী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ধ্যান যেন টেলিভিশনে সম্প্রচার না হয়, সেই বিষয়ে কমিশনক আর্জি জানালো সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। তাদের দাবি, এতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হবে।
তবে এই প্রথম নয়। ২০১৪ এবং ২০১৯ –এর লোকসভা ভোটের প্রচার শেষেও আধ্যাত্মিক সফরে বেরিয়েছিলেন মোদী। ২০১৪ সালে গিয়েছিলেন কেদারনাথে এবং ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রের শিবাজির প্রতাপগড় দুর্গে। আর এবার যাবেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে।
প্রসঙ্গত, ১৮৯২ সালে সারা দেশ ঘুরে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে আসেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেখানে মূল ভূখণ্ড থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি শিলায় বসে তিনদিন ধ্যান করেন তিনি। এখানেই বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর, আরব সাগরের মিলন হয়েছে। মনে করা হয়, সেখানেই আলোকপ্রাপ্ত হন বিবেকানন্দ। হিন্দু ধর্মে কথিত, যেখানে শিবের জন্য তপস্যা করেছিলেন পার্বতী, সেখানেই রয়েছে ওই শিলা। ওই শিলার উপর নাকি পার্বতীর পায়ের চিহ্নও রয়েছে। সেই ‘ধ্যানমণ্ডপম' শিলায় ধ্যানে বসতে চলেছেন মোদী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন