এনডিএ শিবিরে দলের যোগ মেনে নিতে না পেরে দল ছাড়লেন রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ সিদ্দিকী। রবিবার একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একই মঞ্চে ছিলেন আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন শহীদ সিদ্দিকী।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন শহীদ সিদ্দিকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়ন্ত চৌধুরীর উদ্দেশ্যে লেখা একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি লেখেন, “আরএলডি-র এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়া আমাকে একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। আমি আমার মন এবং হৃদয় দিয়ে দীর্ঘ এবং কঠোর সংগ্রাম করেছি এই দলের জন্য। কিন্তু নিজেকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন একটি জোটের অংশ ভাবতে কখনও পারবো না। চুপচাপ দেখে যেতে পারবো না এটা।“
তিনি আরও লেখেন, “শ্রদ্ধেয় জয়ন্ত জি, আপনাকে একজন সহকর্মীর চেয়ে ছোট ভাই হিসাবে বেশি দেখি। আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব এবং শ্রদ্ধার পরিবেশ তৈরি করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কেউ সন্দেহ করতে পারে না। কিন্তু দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি আমি।“
২০১৬ সালে আরএলডি-তে যোগ দেন সিদ্দিকী। তিনি জানিয়েছেন, গত মাসেই এনডিএ-র সাথে আরএলডি-র জোট ঘোষণা হলেও তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা দলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী চরণ সিংকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন। যা গতকাল অর্থাৎ রবিবার দেওয়া হয়েছে। এরপরই নিজের দলত্যাগের কথা জানান সিদ্দিকী।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাট ভোটের দিকে নজর রেখে জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি-র সাথে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। এই এলাকার এক ডজন লোকসভা এবং প্রায় ৪০টি বিধানসভা আসনে জাট সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ভোটের মুখে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতার দলত্যাগ আরএলডি-র পাশাপাশি বিজেপির কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন