কর্ণাটক ক্ষমতাসীন বিজেপির নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে ক্ষমতার বদল হতে পারে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সভাপতি শরদ পাওয়ার শনিবার কোলাপুরে একথা জানিয়েছেন।
পাওয়ার বলেন, "আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কর্ণাটকে ক্ষমতা হারাতে চলেছে এমন স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। আমরা বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করতে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গঠন করার চেষ্টা করছি, তবে সমস্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা রয়েছে যা মোকাবিলা করা দরকার।"
ঐতিহাসিক এই শহরে সাংবাদিকদের সম্বোধন করে, পাওয়ার বলেন, সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষার ফলাফল দেখিয়েছে যে জনগণের মেজাজ বিজেপির বিরুদ্ধে যাচ্ছে এবং বিজেপি পরবর্তী নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেতে পারে। "জনগণ আর ধর্মীয় ইস্যুতে ভোট দেবে না। জনগণকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করা হচ্ছে, যা আর চলবে না।"
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা (বিজেওয়াই) সম্পর্কে মন্তব্য করে, পাওয়ার বলেন, এটি সাধারণ নাগরিকদের সমর্থন অর্জন করেছে। রাহুল গান্ধীর যাত্রায় প্রতিক্রিয়া থেকেই তা বোঝা যাচ্ছে।
এছাড়াও, কংগ্রেস নেতার (রাহুল) যে বিভ্রান্তিকর ভাবমূর্তি তৈরি করতে চাওয়া হয়েছিল তা দেশব্যাপী মিছিলের মাধ্যমে তা ভেঙে দেওয়া গেছে।
বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের নিন্দা করে, এনসিপি সুপ্রিমো এবং মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) এর শীর্ষনেতা একে গণতন্ত্রের উপর "আক্রমণ" বলে অভিহিত করেছেন।
সম্প্রতি বঞ্চিত বহুজন আঘাদি (ভিবিএ) সভাপতি প্রকাশ আম্বেদকরের জানিয়েছেন কেন্দ্র ED, CBI-এর মতো ফেডারেল তদন্ত সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে না। যে বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে পাওয়ার পাল্টা বলেন, সরকার বিরোধী নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং জনগণের অধিকার চূর্ণ করা হচ্ছে।
পাওয়ার আরও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে, সমস্ত নেতাদের সাথে একটি জাতীয় ঐক্যবদ্ধ বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের প্রচেষ্টা আবার শুরু হবে।
তিনি বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে একাধিক বিরোধী দলের নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করছি। এক্ষেত্রে কিছু জটিল সমস্যা রয়েছে। কারণ বিভিন্ন দল তাদের স্থানীয় বা আঞ্চলিক সমস্যার কারণে কিছু রাজ্যে বিরোধী পক্ষ রয়েছে। আমাদের প্রথম সেগুলোর সমাধান করতে হবে।"
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, এমভিএ আসন্ন এমএলসি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন এবং এমএলএ উপনির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজ্যে লড়াই করবে এবং আগামীদিনেও একই ভাবনায় চলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন