উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরের (শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে প্রার্থী হলেন শিবসেনার (শিন্ধে গোষ্ঠী) রাজ্যসভার সাংসদ মিলিন্দ দেওরা। ওরলি বিধানসভা কেন্দ্রে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে জোর লড়াই হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে নিজের পুরনো আসন থেকেই লড়ছেন আদিত্য। উদ্ধব পুত্রের বিরুদ্ধে মিলিন্দ দেওরাকে বেছে নিয়েছেন একনাথ শিন্ধে। রবিবার ২০টি আসনে প্রার্থী তালিকে পেশ করেন শিন্ধে। সেখানেই দেখা যায় মিলিন্দের নাম। এই আসনটিতে বাড়তি নজরে রয়েছে সকলের।
মিলিন্দ দেওরা হলেন একনাথ সিন্ধের শিবসেনা গোষ্ঠীর রাজ্যসভার সাংসদ। পাশাপাশি তিনি প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মুরলী দেওরার পুত্র। মুরলী টানা ৪০ বছর দক্ষিণ মুম্বই লোকসভার সাংসদ ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে মিলিন্দও দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে লড়লেও তিনি জিততে পারেননি। ২০১৪ এবং ২০১৯-এ তিনি শিবসেনা (অবিভক্ত) প্রার্থী অরবিন্দ সাওন্ত-এর কাছে পরাজিত হন। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কংগ্রেস ছেড়ে শিন্ধে গোষ্ঠীর শিবসেনায় যোগ দেন রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত মিলিন্দ।
উল্লেখ্য, ওরলি আসনটিতে ২০১৪ সাল থেকে জয়ী হচ্ছে শিবসেনা। ২০১৪ সালে ২৩ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন শিবসেনা (অবিভক্ত)-র সুনীল শিন্ধে। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন আদিত্য ঠাকরে। তিনি ৬৭,৪২৭ ব্যবধানে এনসিপি প্রার্থী সুরেশ মানেকে পরাজিত করেছিলেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনেও অবিভক্ত ছিল শিবসেনা। এবার নিজের আসন ধরে রাখতে পারবেন কি আদিত্য? নাকি বাজিমাত করবেন মিলিন্দ দেওরা? সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে নির্বাচন হবে এক দফাতেই। আগামী ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ফলপ্রকাশ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রে মোট বুথ এক লক্ষের বেশি। সেই সংখ্যা ১,০০,১৮৬। ওই রাজ্যে মহিলা চালিত বিশেষ বুথ হবে। সেই সংখ্যা ৩৮৮। শহরে বুথের সংখ্যা ৪২,৬০৪। গ্রামে বুথের সংখ্যা ৫৭,৫৮২। মোট ভোটারের সংখ্যা ৯.৬৩ কোটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন