লক্ষ্য হিন্দু ভোট? ভোটমুখী গুজরাটে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবার সিদ্ধান্ত মোদি-শাহের

আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাস করছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর গুজরাটে বিজেপি সরকার থাকলেও, এতদিন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি।
অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী
অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীফাইল ছবি
Published on

সামনেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujrat Assembly Election)। তার আগেই নয়া চমক মোদী-অমিত শাহের। গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাসকারী প্রতিবেশী ৩ দেশের সংখ্যালঘুদের ‘শরণার্থীদের’ ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর, এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন মেনে।

সূত্রের খবর, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা দীর্ঘদিন ধরে গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাস করছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর গুজরাটে বিজেপি সরকার থাকলেও, এতদিন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি।

যদিও, আসন্ন নির্বাচনের আগে তাঁদের সবাইকে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এ দেশের নাগরিকত্ব দিতে চলেছে মোদী সরকার (Modi Govt.)।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ (CAA) লাগু না করে, ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব প্রদান বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কেন্দ্রের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে যেসকল অমুসলিম (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান) অভিবাসী ভারতে এসেছেন তাঁদের নাগরিতত্ব দিতে চায় কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬ নং ধারা এবং ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব বিধি অনুসারে গুজরাটের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বসবাসকারী অভিভাসীদের ভারতের নাগরিক হিসাবে নিবন্ধনের অনুমতি এবং তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হবে।  

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ করেছে মোদী সরকার। যাতে করে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। কিন্তু, এই আইনের অধীনে বিধিগুলি এখনও সরকার প্রণয়ন করতে না পারায়, এখনও পর্যন্ত কাউকে এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি।

সংসদীয় কর্মসূচীর ম্যানুয়াল অনুসারে, রাষ্ট্রপতির সম্মতির ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও আইন প্রণয়নের নিয়ম তৈরি করা উচিত। তা না হলে লোকসভা এবং রাজ্যসভার কাছ থেকে সময় চাইতে হবে কেন্দ্রকে।

জানা যাচ্ছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর নিয়ম তৈরির জন্য কেন্দ্রকে অতিরিক্ত সময় প্রদান করেছে রাজ্যসভা ও লোকসভার আইন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি।

শেষ সময়সীমা হিসাবে রাজ্যসভা থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং ৯ জানুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত সময় দিয়েছে লোকসভা।

অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী
'লজ্জাও করে না!' - মোরবিতে মোদী যাওয়ার আগে হাসপাতাল সাজানোয় কটাক্ষ বিরোধীদের
অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদী
Gujarat: রক্ষণাবেক্ষণের অভিজ্ঞতা নেই, BJP যোগেই 'মোরবি সেতু' ওরেভা গ্রুপের হাতে?

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in