লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। অন্ধ্রপ্রদেশে চিত্তুর জেলার কুপ্পাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। শুক্রবার তাঁর স্ত্রী এন ভুবনেশ্বরী মনোনয়ন পত্র জমা দেন চন্দ্রবাবু নাইডুর হয়ে। হলফনামা অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
ভুবনেশ্বরীর দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৯৩১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে এই দম্পতির সম্পদের মূল্য ছিল ৬৬৮ কোটি টাকা। চন্দ্রবাবু নাইডুর থেকে বেশি সম্পত্তির মালিক ভুবনেশ্বরী।
হলফনামা অনুসারে, নেতার মাত্র ৪.৮০ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। একটি অ্যাম্বাসেডর গাড়ি রয়েছে। যার মূল্য ২.২২ লক্ষ টাকা। টিডিপি প্রধানের স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৩৬.৩১ কোটি টাকা। হায়দ্রাবাদের জুবিলি হিলসে একটি বাড়ি আছে, যেটি তিনি তাঁর পুত্র নারা লোকেশের সাথে যৌথভাবে মালিক।
অন্যদিকে, ভুবনেশ্বরী, পরিবারের মালিকানাধীন কোম্পানি হেরিটেজ ফুডস লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পারিবারিক শেয়ার সহ ৭৬৩.৯৩ কোটি অস্থাবর সম্পত্তির মালিক ভুবনেশ্বরী। তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৫.১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম জেলার অন্তর্গত একটি কৃষিজমি এবং বাণিজ্যিক সম্পত্তি।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে চন্দ্রবাবুর আয় শূন্য ছিল। একই আর্থিক বছরে তাঁর স্ত্রীর আয় ছিল ১১.৩৪ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে চন্দ্রবাবুর আয় ছিল ১৮.৩৯ লক্ষ টাকা যেখানে তাঁর স্ত্রীর আয় ছিল ২০.৩১ কোটি টাকা।
চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে ২৪ টি ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে অমরাবতী জমি কেলেঙ্কারি, ফাইবারনেট কেলেঙ্কারি এবং দক্ষতা উন্নয়ন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে, যে মামলায় তাঁকে গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
১৩ মে হতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। টিডিপি, জনসেনা ও বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে। ভোট হবে অন্ধ্রপ্রদেশের ১৭৫ টি আসনে। কুপ্পাম আসন থেকে বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। ২০১৯ সালের ভোটে ওই আসনে ওয়াইএস কংগ্রেস প্রার্থী কে চন্দ্রমৌলিকের কাছে ৩৫ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন