বুথ ভিত্তিক ভোটের হার প্রকাশ করার আবেদনে কোনো হস্তক্ষেপই করলো না সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ADR-র দায়ের করা মামলাটি স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রতিটি বুথের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ভোটের হারে গরমিল দেখা দেওয়ায় অ্যাসোসিয়েশন ডেমোক্রেটিং রিফর্মস মামলাটি দায়ের করেছিল। তারা আবেদনে জানায়, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভোটদানের বুথভিত্তিক তথ্য কমিশনকে জানাতে হবে। নির্বাচন কমিশন সঠিক তথ্য পেশ করছে না। ভোট শেষের পর একরমক তথ্য দিচ্ছে। পরে চূড়ান্ত তথ্য পেশের সময় তা বদলে যাচ্ছে, বিস্তর পার্থক্য দেখা যাচ্ছে দুই তথ্যে। এডিআর-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়, কমিশনের উচিত সমস্ত বুথের ভোটের হার নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা বা ১৭-সি ফর্মের স্ক্যান করা কপিগুলি আপলোড করা। যাতে ভোটাররাও সমস্ত তথ্য দেখতে পান।
শুক্রবার মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চে। বেঞ্চ জানায়, নির্বাচনের আর দুটি মাত্র দফা বাকি রয়েছে। অধিকাংশটাই হয়ে গেছে। ফলে এই মুহূর্তে প্রতিটি বুথের ভোটের হার আপলোড করা কঠিন ব্যাপার। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্ট এখন এই বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। ছুটির পর এই মামলার শুনানি হতে পারে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছিল, ভোটের হার জানাতে এত দেরি হওয়ার কারণ কী? কমিশনের তরফ থেকে কেন তথ্য আপলোড করা হচ্ছে না? কমিশন জানায় অনেক দূরে দূরে বুথ রয়েছে। সেই সমস্ত অঞ্চল থেকে তথ্য আসতে দেরি হচ্ছে। সেই কারণে ভোটের হারে পার্থক্য ঘটছে।
আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে সওয়াল করেছিলেন, নির্বাচনের কাজ সন্দেহজনক। কমিশনের সঠিক তথ্য লুকিয়ে রাখা সকলের কাছেই অবাক করার মতো বিষয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন