২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বিজেপি নেতারা সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র মুখেও সিএএ প্রসঙ্গ উঠে এলো। তিনি বলেন, "সিএএ নিয়ে আমাদের মুসলিম ভাইদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁদেরকে ভুল বুঝিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিএএ-র অধীনে শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। ভারতীয় নাগরিকদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়"।
বিজেপি যে সিএএ খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে তা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন ভারতের সমস্ত রাজ্যে খুব দ্রুত সিএএ চালু হয়ে যাবে।
কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করার কথা বহু বছর ধরেই বলে আসছে। একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি প্রথম থেকেই যার বিরোধিতা করছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, "কেরালা রাজ্য নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন প্রয়োগ করবে না। রাজ্য সরকার দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে যে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা হবে না"।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সিএএ-র বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, "নতুন করে নাগরিকের প্রমাণ দিতে হবে কেন? আপনারা সকলেই দেশের নাগরিক। আপনাদের ভোটেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন"।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ করেছে মোদী সরকার। যাতে করে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। কিন্তু, এই আইনের অধীনে বিধিগুলি এখনও সরকার প্রণয়ন করতে না পারায়, এখনও পর্যন্ত কাউকে এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন