ভোটগণনা কেন্দ্রের টেবিলে থাকতে পারবেন না কোনো অস্থায়ী কর্মী। গণনার একদিন আগে নির্বাচন কমিশনকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, গণনাকেন্দ্রের টেবিলে অঙ্গনওয়ারি কর্মী, পার্শ্বশিক্ষক, সিভিক ভলান্টিয়ার বা ওই জাতীয় কোনও অস্থায়ী কর্মীকে রাখা যাবে না। কমিশনের নির্দেশ মেনে গণনা কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
হাওড়া ও বালি পুরসভায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হচ্ছে গণনাকেন্দ্রে। এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপ্তি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানি চলাকালীন মামলাকারীর আইনজীবী জানান, গণনাকেন্দ্রের ডিসিআরসির পুরো দায়িত্বে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে।
সওয়ালে কমিশনের পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, গণনার টেবিলে একজনও অস্থায়ী কর্মী থাকবেন না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ যাতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। কমিশনের আইনজীবী আরও জানান, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারদের মধ্যে কেউই চুক্তিভিত্তিক কর্মী নন।
যদিও এদিন আদালতে গণনার কাজে চুক্তিভিত্তিক কাউকে নেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ মামলাকারী দিতে পারেননি। এর পরেই বিচারপতি জানায়, কোথাও যাতে ভোটগণনার টেবিলে অস্থায়ী কর্মী না থাকে, তা দেখতে হবে কমিশনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন