Lok Sabha Polls 24: কাশ্মীরের থেকেও বেশি, বাংলায় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

People's Reporter: জাতীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রকে জানিয়েছে, দেশ জুড়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করাতে অন্তত ৩ হাজার ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাতে চায় তারা।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

জম্মু ও কাশ্মীরকেও ছাড়িয়ে গেল বাংলা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, এরাজ্যের জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

বাংলার পরে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জন্য ২৫২ কোম্পানি, বিহার এবং ছত্তীসগড়ের জন্য যথাক্রমে ২৯৫ ও ৩৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার জন্য ২৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমের জন্য যথাক্রমে ৭৫ ও ১৭ কোম্পানি বাহিনী হলেই চলবে। ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের জন্য ২৫০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কমিশন। এছাড়া গোষ্ঠীহিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরের জন্য কমিশন চেয়েছে ২০০ কোম্পানি। গুজরাতের জন্য ওই একই পরিমাণ বাহিনীই চাওয়া হয়েছে।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য কত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জানতে চেয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট পাওয়ার পর জাতীয় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রকে জানিয়েছে, দেশ জুড়ে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন করাতে অন্তত ৩ হাজার ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাতে চায় তারা। 

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে খুশি বিরোধীরা। অন্য দিকে, কংগ্রেস বা বামেদের বক্তব্য, শুধু বাহিনী মোতায়েন করলেই হবে না, তারা যাতে সক্রিয় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। শাসকদল তৃণমূল অবশ্য এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ।

এব্যাপারে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের যা অবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারাটা মুশকিলের ব্যাপার। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে, সেটা বড় কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল, তারা যেন এসে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। বুথে লুট হচ্ছে আর বাহিনী গাছতলায় বসে সরবত খাচ্ছে, সেটা হলে চলবে না।’’ একই সুরে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘‘বাহিনীকে বাহিনীর মতো করে কাজ করতে হবে। তৃণমূলের দলদাস হয়ে যাওয়া পুলিশের নির্দেশে বাহিনী কাজ করলে চলবে না।’’

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য এখনই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এটা প্রশাসনিক বিষয়। এখনই এটা নিয়ে বলার মতো সময় আসেনি। যখন বলার হবে, তৃণমূল তার প্রতিক্রিয়া জানাবে।’’

ছবি প্রতীকী
Electoral Bond: 'ইলেক্টোরাল বন্ড অসাংবিধানিক, বাতিল হওয়া উচিত', যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in