লোকসভা নির্বাচনে জয় পেলে লুধিয়ানার বিজেপি প্রার্থী রভনীত সিং বিট্টুর প্রথম কাজ হবে 'পবিত্র গাভী' কে 'রাষ্ট্রমাতা'র মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব পেশ করা। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ভোটারদের এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপি প্রার্থী।
বিজেপির গোমাতা প্রীতির কথা কারও অজানা নয়। এই নিয়ে একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। সেই বিরোধী শিবিরে এক সময় ছিলেন বিট্টুও। কিন্তু এখন তিনি গেরুয়া শিবিরে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমি জগতগুরু শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছি এই বিষয়টি। স্বামী শ্রী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ তখন পাঞ্জাব যাত্রায় ছিলেন। যাত্রাটি হয়েছিল গোরু বাঁচানো এবং গোরুকে 'রাষ্ট্রমাতা'র মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে।
বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, 'এতদিন আমি কংগ্রেসে ছিলাম। প্রতিটি দলেরই আদর্শ থাকে। এখন আমি বিজেপিতে। তাই আমাদের দলের আদর্শ অনুযায়ী দেশ, সনাতন ধর্ম এবং পবিত্র গোরুর প্রতি দায়বদ্ধ আমি। নির্বাচনে জিতে আমি প্রথমেই সংসদে পবিত্র গাভীকে 'রাষ্ট্রমাতার' মর্যাদা দেওয়ার আবেদন জানাবো'।
বিট্টুকে এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন লুধিয়ানা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং। তিনি বলেন, 'বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কোনো দেশপ্রেম বা জাতীয়তাবোধ কাজ করে না। তিনি কেবল একজন সুবিধাবাদী। একজন বিশ্বাসঘাতক সর্বদা বিশ্বাসঘাতকই থাকে। কংগ্রেসের সাথে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাহলে তিনি বিজেপির সাথেও করতে পারেন। উনি যা বলছেন তা মানুষকে বোকা বানানোর জন্য বলছেন। ওনার কথায় বিশ্বাস না করাই ভালো'।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রভনীত সিং বিট্টু। ২০১৪ এবং ২০১৯ পরপর দু'বার লুধিয়ানা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে আনন্দপুর সাহিব কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার বিজেপির টিকিটে লুধিয়ানা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন