G-23: নির্বাচনে বিপর্যয়, কংগ্রেস নেতৃত্বের বদল আনতে দ্রুত সাংগঠনিক নির্বাচন চায় বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী

সূত্র অনুসারে, বিক্ষুন্ধ নেতারা ভোটের পরাজয়ের জন্য পার্টির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা AICC-র কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা চান কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গঠনে পরিবর্তন হোক।
বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী G-23
বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী G-23 ফাইল চিত্র - সংগৃহীত
Published on

এবার আসরে কংগ্রেসের ‘G-23’ নেতারা। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের পরে শুক্রবার তাঁরা বৈঠকে বসেন। কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে আর বিলম্ব না করা উচিত নয় বলে বৈঠকে মতামত ব্যক্ত করেন তাঁরা। ভোটের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করারও ডাক দেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে এই বৈঠকটি হয় এবং এতে উপস্থিত ছিলেন কপিল সিবাল, মণীশ তেওয়ারি, আনন্দ শর্মা এবং অখিলেশ প্রসাদ সিং সহ একাধিক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা। সূত্র অনুসারে, বিক্ষুন্ধ নেতারা ভোটের পরাজয়ের জন্য পার্টির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা AICC-র কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা চান কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গঠনে পরিবর্তন হোক। সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

পাঁচটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়ে আসার একদিন পরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেস তার শক্ত ঘাঁটি পাঞ্জাবে পরাজিত হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে কার্যত অস্তিত্বহীন হয়েছে। পাশাপাশি গোয়া, মণিপুর এবং উত্তরাখণ্ডেও চরম ব্যর্থ হয়েছে। ভোটের পরাজয়ের পরে কংগ্রেসের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ‘G-23’ নেতারা দলীয় নেতৃত্বের কার্যপ্রণালীতে রীতিমত বিরক্ত।

‘G-23’ এক নেতার কথায় –“কংগ্রেসের প্রথম পরিবারটির সরে যাওয়ার সময় এসেছে।একটি নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন, যারা দলীয় কাজের জন্য ২৪ ঘন্টা কাজ করবে। অন্যথায় দেশে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন হবে না।” কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা আরও জানিয়েছেন, দলের বর্তমান গঠন কার্যকারিতা হারিয়েছে এবং এই পরিকাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। কারণ দল 'কারো সম্পত্তি' নয় এবং কংগ্রেসে প্রত্যেকেরই অংশীদারিত্ব রয়েছে।

অন্যদিকে, দলের অভ্যন্তরে পরিবর্তন আনতে সুর চড়িয়েছেন শশী থারুরও। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন – “পুরনো ঐতিহ্য ও সোনালি দিনগুলি ফিরে পেতে দলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।” কংগ্রেসের অন্দরে গত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে বিক্ষুব্ধ নেতাদের সংখ্যা। থারুরের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তিনি এবার বিক্ষুব্ধদের তালিকাতেই নাম লেখালেন।

এই বিপুল পরাজয়ের পিছনে শীর্ষ নেতৃত্ব যে যুক্তি দিয়েছেন, তা তিনি মানতে রাজি নন। বরং তিনি দলের অন্দরে কীভাবে, কী পরিবর্তন ঘটানো যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন।

বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী G-23
Congress: দলের অন্দরে পরিবর্তনের ডাক, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীতে শশী থারুর!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in