কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। মোদী-অমিত শাহ জোরকদমে প্রচার চালালেও ৬৫টি আসনেই থামতে হয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির এই হারের জন্য মোদীকে দায়ী করা হলেও তা মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য (কর্ণাটক) নেতৃত্ব।
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে সকলেরই চোখ ছিল কর্ণাটক বিধানসভার ফলাফলের দিকে। একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছিল কংগ্রেসের জয়ের বিষয়টি। ফলাফলাও তাই হলো। কংগ্রেস জয় পায় ১৩৫ আসনে, বিজেপি ৬৬ আসনে, জেডিএস ১৯ এবং অন্যান্যরা ৪টি আসনে জয় পায়। এর পরই শুরু হয় 'মোদী ম্যাজিকে'র সমালোচনা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয় কর্ণাটকের মানুষ দেখিয়ে দিল মোদীকেও হারানো যায়। মোদী ২০ বার কর্ণাটকে এসেছেন প্রচারে। অতীতে কোনো প্রধানমন্ত্রী এত বেশি প্রচার করেনি কর্ণাটকে। তাও নিজের দলকে জেতাতে পারলেন না। এই হারের দায় মোদীকেই নিতে হবে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য কংগ্রেসের এই যুক্তি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, হারের দায় আমার। আমার কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দল হেরেছে। নরেন্দ্র মোদীর এতে কোনো ভূমিকা নেই। কর্ণাটক বিজেপির অন্যান্য নেতারাও বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করেছেন। এমনকি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছিল কংগ্রেস জিততে চলেছে। সেটাই বাস্তবে হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নেই।
কর্ণাটকের অন্য এক নেতা সি টি রবির গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কোনো দোষ দেবো না। আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্য এই ফল হয়েছে। মানুষের চাহিদাকে আমাদের নেতারা হয়তো ঠিক গুরুত্বন দিতে পারেনি সেই কারণেই এই ফল।
শুধু কর্ণাটক বিধানসভা নয় প্রায় ছয় মাস আগে হওয়া হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। সেখানেও ভারতীয় জনতা পার্টিকে হারিয়ে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। ২৪-র লোকসভার আগে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, হিমাচল হোক বা কর্ণাটক মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে মোদী-অমিত শাহকেও হারানো যায়। তাঁরা অপরাজেয় নয়। মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস অপরিহার্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন