আগামী ১ জুন শেষ দফায় ভোট রাজ্যের ন’টি কেন্দ্রে। তার মধ্যে রয়েছে বসিরহাট কেন্দ্র, যার অধীনে পড়ে সন্দেশখালি বিধানসভা, রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবথেকে চর্চিত নাম। ভোটের আগে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সেই সন্দেশখালির এসডিপিও আমিনুল ইসলামকে। এছাড়াও আরও দুই পুলিশ কর্তাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
আগামী ১ জুন রাজ্যের ন’টি লোকসভা কেন্দ্র- বসিরহাট, দমদম, জয়নগর, মথুরাপুর, কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ, যাদবপুর, বারাসাত এবং ডায়মন্ড হারবারে ভোট। ভোটের চারদিন আগে বসিরহাট জেলা পুলিশের মিনাখাঁর এসডিপিও পদ থেকে সরানো হয়েছে আমিনুলকে। মঙ্গলবার জোড়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনই জানাল নির্বাচন কমিশন। ভোটের কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না আমিনুল, এমনই জানিয়েছে কমিশন।
মিনাখাঁর এসডিপিওর কর্মপরিধি ছিল বসিরহাট লোকসভার মধ্যে। মিনাখাঁ মহকুমার অধীনেই রয়েছে সন্দেশখালিও। এই এসডিপিওর বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়িয়েছিল। তাই কমিশনের সিদ্ধান্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই বসিরহাট জেলা পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর সেই আবহেই পুলিশ কর্তা আমিনুলকে বদলি করল কমিশন।
আমিনুলের পাশাপাশি, রাজ্যের আরও দুই পুলিশ আধিকারিককে পদ থেকে সরিয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরানো হয়েছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাওকেও। জয়নগর ও মথুরাপুর লোকসভা এলাকার পুলিশ সুপারের দায়িত্বে ছিলেন কোটেশ্বর। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাঁকে আর ভোটের কাজে লাগানো যাবে না।
পাশাপাশি, এদিন রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকারকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দমদম লোকসভার অধীন রহড়া থানায় কর্মরত ছিলেন আইসি দেবাশিস। সূত্রের খবর, এই জায়গায় কাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, রাজ্যকে তাঁদের নাম সুপারিশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন