দুয়ারে কড়া নাড়ছে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। সেই প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৩ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ ৪ সাংসদও। কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশেও সরকার বদলের জল্পনা উড়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। তাই কি কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদেরও রাখা হয়েছে? বিজেপি কি নার্ভাস?
সোমবার ভোপালে সমাবেশে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঞ্চ থেকে তিনি কংগ্রেসকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আক্রমণ করেন। সভার কয়েকঘণ্টার পরেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী - নরেন্দ্র সিং তোমর, প্রহ্লাদ সিং পটেল এবং ফজ্ঞান সিং কুলাস্তে। উল্লেখ্য, যে দুটি প্রার্থী তালিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির, তার কোনওটিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নাম নেই। তাই বিজেপি এবারে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিবরাজের জায়গায় অন্য কাউকে ভাবছে কি না, সেই নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ডিমানি কেন্দ্র থেকে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন। শেষবার ২০০৩ সালে গোয়ালিয়র কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তোমর। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেলকে নরসিংহপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এবং নিবাস কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ফজ্ঞান সিং কুলাস্তেকে।
এক দশক পর বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীকেও বিধানসভার লড়াইয়ে নামানো হয়েছে। তিনি লড়বেন ইন্দোর-১ কেন্দ্র থেকে। অন্যদিকে, লোকসভার ৪ সাংসদকেও টিকিট দিয়েছে বিজেপি। সাতনা কেন্দ্রের ৪ বারের সাংসদ গনেশ সিংকে তাঁর নিজের কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। সিধির দুইবারের সাংসদ রীতি পাঠককে সিশি কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। জবলপুরের চারবারের সাংসদ রাকেশ সিংকে পশ্চিম জবলপুর এবং হোশাঙ্গাবাদের তিনবারের সাংসদ উদয় প্রতাপ সিংকে গদরওয়াড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের উত্তরোত্তর শক্তি বৃদ্ধি এবং সরকার বদলের হাওয়ায় ভয় ধরেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বুকে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ-সহ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককেও লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন