শুক্রবার দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন সন্দেশখালিতে সিবিআই, এনএসজির যৌথ তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। এবার সেই অভিযানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, ভোটের আবহে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ফাঁকা জায়গায় এই অভিযান চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে সরব হয়ে প্রশ্ন তোলেন, ওরাই গাড়িতে করে ওইসব নিয়ে আসেনি তো?
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্হার হয়ে প্রচার করতে শনিবার কুলটিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "কেন এখানে চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই, এনআইএ, এনএসজির দরকার পড়ে? যেন যুদ্ধ চলছে? পুরোটাই একতরফা ভাবে হয়। রাজ্য পুলিশকে কিছু জানানো হয় না। কেউ জানে না কোথা থেকে কী পাওয়া গিয়েছে। হয়তো ওরাই গাড়িতে করে নিয়ে এসেছে ওইসব। কোনও প্রমাণ নেই।’’
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা চিঠিতে তৃণমূল উল্লেখ করেছে, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সময় অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ভোটের দিনে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে একটি খালি জায়গায় অনৈতিক অভিযান চালিয়েছে সিবিআই।“
ওই চিঠিতে আরও লেখা আছে, "নিশ্চিতভাবে জানার কোন উপায় নেই, বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রগুলি সত্যিই তল্লাশি প্রক্রিয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছিল কিনা। হয়তো সেগুলি গোপনে সিবিআই বা এনএসজি দ্বারা ওখানে রাখা হয়েছিল।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছায় সন্দেশখালির আগারহাটির মল্লিকপাড়ায়। শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বাড়ির মেঝে খুঁড়ে সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর বিস্ফোরকও উদ্ধার হয় ওই বাড়ি থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন