পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে নতুন করে আর কোনও আলোচনায় আগ্রহী নয় তৃণমূল। দলের একজন প্রবীণ নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রিসভার একজন বিশিষ্ট সদস্য জানিয়েছেন, দলের সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মতামত ছিল যে দুটি কারণে কংগ্রেসের সাথে আলোচনা অর্থহীন।
রাজ্য মন্ত্রীসভার ওই সদস্যের কথায়, “প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের আট থেকে দশটি আসনের দাবি সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। কারণ ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দেশের প্রাচীনতম জাতীয় দলের ভোটের অংশ মাত্র ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
“দ্বিতীয়ত, রাজ্য বিধানসভায় কোনও সদস্য ছাড়া এবং লোকসভায় মাত্র দুইজন সাংসদ নিয়ে, ৮ থেকে ১০টি আসনের দাবি বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই নয়।"
তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের পরিবর্তে সিপিআই(এম) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের সাথে আসন ভাগাভাগি চুক্তিতে বেশি আগ্রহী এবং সেই কারণে রাজ্যের শাসক দলের নেতৃত্ব কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না।”
শাসক দলের কিছু শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সিপিআই(এম)-এর সাথে কংগ্রেস আসন্ন লোকসভায় অল-ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট (এআইএসএফ)-এর প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে সমর্থন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা জানতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই বিরক্ত হয়েছেন। এই কেন্দ্র থেকে বর্তমান সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জি৷
সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বিরোধী দলগুলির ইন্ডিয়া মঞ্চে জাতীয় স্তরে তৃণমূল থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়াই করবে।
এর পরেই রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি এবং লোকসভা সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চ্যালেঞ্জ করেন। অধীর চৌধুরী এই কেন্দ্র থেকে পাঁচবারের নির্বাচিত সাংসদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন