দলবদলের ৩ বছর পর বিজেপির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি যাতে কোনো পদক্ষেপ না করতে পারে সেই কারণেই ইস্তফা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া বিশ্বজিৎ দাস। জেতার কিছু মাস পরেই ফের তৃণমূলে ফেরেন তিনি। কিন্তু এতদিন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। শুক্রবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন এই তৃণমূল প্রার্থী।
লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপির শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বিশ্বজিৎ। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূল প্রার্থী জানান, আগে এমনিই বিজেপির সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলাম। আর এখন সেটা আনুষ্ঠানিক হয়ে গেল।
এর আগে, দলবদল করে বাগদার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে কাজ করার পরিবেশ নেই। ওই দলের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি দল পরিবর্তন করেছিলাম। একজন জনপ্রতিনিধির কাজ হওয়া উচিত এলাকার উন্নয়ন এবং এলাকার মানুষের পাশে থাকা। আমি তৃণমূলে থেকেও সেটা করতে পারি। তাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছি।
আরও এক বিজেপি বিধায়ককে এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে রায়গঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক হন কৃষ্ণ। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী ঘোষণার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন