আরামবাগে ভোট শেষ হতেই একের পর এক সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ সামনে আসছে। সমস্ত অভিযোগই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই হামলা থেকে বাদ যাননি বাড়ির মহিলারাও। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০১৯-র লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যে বামেরা শূন্য। শাসক দলের নেতাদের অনেকেই বামেদের 'শূন্য' বলেই কটাক্ষ করেন। সেই 'শূন্য' পাওয়া দলের কর্মী সমর্থকদের ওপরই আক্রমণ চালালো তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এমনটাই অভিযোগ করছেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মলয়পুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাম কর্মী সমর্থকরা।
সিপিআইএম-র অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাদের সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দিয়ে আসছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এমনকি ভোট দিতে যেতেও বাধা দেন। ভোট দিলে মারধর করার হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্ত ভয় উপেক্ষা করেই সোমবার নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন ওই গ্রামের বাম সমর্থকরা। ভোট মিটতেই সোমবার রাতের বেলা সিপিআইএম সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা।
বামেরা আরও জানায়, বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় তাদের সমর্থকদের। নারী ও শিশুদের ওপরও অত্যাচার চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। আফসারা মোল্লা, তানজিমা বেগমকে মুখে, পেটে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত হয়ে তাঁরা আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
পুলিশে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বামেরা। তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ ভুয়ো বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে সিপিআইএম-র প্রার্থী বিপ্লব মৈত্র। তৃণমূলের প্রার্থী মিতালী বাগ এবং বিজেপির তরফ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অরূপ কান্তি দিগর। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে মাত্র ১,১৪২ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। কিন্তু এবার অপরূপাকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন